অস্ট্রেলিয়ায় ৩ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া

অস্ট্রেলিয়ার কাকারুতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছন। শনিবার স্থানীয় সময় সাড়ে ১২টার দিকে কাকাড়ু মহাসড়কে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় সেখানকার বাঙালিদের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। হাসপাতালের সামনে আহতদের জন্য প্রার্থনা করতে জড়ো হয়েছেন অনেক বাংলাদেশি।

9610968-3x2-700x467

নিহতদের মধ্যে, দুইজন নারী ও একজন পুরুষ। শনিবার কুইনা লজ থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে মহাসড়কে গাড়িটি দুর্ঘটনায় পরে। এজন্য চালকের অনভিজ্ঞতাকে প্রাথমিকভাবে দায়ী করছে পুলিশ।

আহত চারজন এখন রয়েল ডারউইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনজন এখনও আইসিইউতে।

কয়েক মাস আগেই লিচফিল্ড ন্যাশনাল পার্কে এক দুর্ঘটনায় দুইজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছিলেন।   এক বছরের মধ্যেই আবার এমন দুর্ঘটনায় শোকাহত সেখানকার বাঙালিরা।

চার্লস ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদুল হাসান বলেন,  রয়্যাল ডারউইন হাসপাতালের সামনে প্রায় ১০০ জন প্রার্থনায় জড়ো হয়েছিলেন। নিহতেরদ মধ্যে তিনজনিই বিবাহিত এবং তাদের বয়স ৩০ এর নিচে।

ডারউইনে বাংলাদেশিদের সংখ্যা প্রায় ২৫০। সবাই সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। মাহমুদুল হাসান বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। ৯ মাস আগেও আমরা আমাদের এক ভাই ও বোনকে দুর্ঘটনায় হারিয়েছিলাম।

মাহমুদুল হাসান বলেন, হয়তো ইস্টারের ছুটি কাটাতে তারা বের হয়েছিলেন। কাকাড়ুতে দুর্ঘটনার পর তৎক্ষণাত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাদের। খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে প্রায় ১০০ জন বাংলাদেশি সেখানে উপস্থিত হয়। সবাই সহায়তা করতে থাকে। দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে।

9607380-3x2-700x467

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চালকের অনভিজ্ঞতার কথাই বলা হয়েছে। রবিবার সকালে স্থানয়ি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত সহাকারী কমিশনার কমান্ডার টনি ফুলার বলেন, ভাড়া করা একটি টয়োটা প্রাডো চালাচ্ছিলেন ২৯ বছর বয়সী এক তরুণ। কিন্তু হঠাৎ তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং গাড়িটি দুর্ঘটনায় পড়ে।’ তিনি জানান, একজন গাড়ি থেকে বের হতে সক্ষম হয়। ফলে আরোহীরা সিটবেল্ট পড়া ছিলেন কি না তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ফুলার বলেন, ‘আমার মনে হয় না মদ্যপ থাকার কারণে এমন হয়েছে। গতির কারণে এটি হয়ে থাকতে পারে। মূলত চালকের অনভিজ্ঞতারর কারলেই এই দুর্ঘটনা বলে ধারণা আমাদের।’

দুর্ঘটনা নিয়ে এখনও অনুসন্ধান চলছে বলেও জানান তিনি।

এই নিয়ে চলতি বছর এই অঞ্চলে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫। ফুলার বলেন, ‘আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। গতবছরের মোট নিহতের অর্ধেক সংখ্যা এই বছরের প্রথম তিনমাসেই হয়ে গেছে।’