আসারামের পাশের সেলে রাত কাটালেন সালমান, জামিনের জন্য অপেক্ষা

কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের ঘটনায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পাওয়ার পর যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে প্রথম রাতটি কাটিয়েছেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুর পাশের সেলেই ছিলেন তিনি। অন্য সাধারণ কয়েদিদের মতোই খাবার দেওয়া হয়েছে তাকে। 

সালমান খান
সালমান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি ১৯৯৮ সালে যোধপুরের কাছে কানকানি গ্রামে দুটি বিরল প্রজাতির হরিণ শিকার করেছেন। সালমানসহ বলিউড তারকা সাইফ আলী খান, সোনালি বেন্দ্রে, নিলম ও টাবু একটি হিন্দি ছবির শুটিংয়ের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। ৫২ বছর বয়সী সালমান আগেই এ মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, হরিণ দুটি প্রাকৃতিক কারণেই মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) প্রায় বিশ বছর বয়সী পুরনো এই মামলার রায় দিয়েছেন যোধপুরের ডিসট্রিক্ট প্রিজাইডিং অফিসার দেবকুমার খাত্রী। রায়ে সাইফ আলী খান, সোনালি বেন্দ্রে, নিলম ও টাবুকে খালাস দেওয়া হলেও সালমানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। হরিণ শিকারে সালমান খানকে 'অভ্যস্ত আক্রমণকারী'আখ্যা দেওয়া হয় আদালতের রায়ে। পরে তাকে যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয়। 
জেলে কয়েদি নম্বর ১০৬ হিসেবে আছেন সালমান। ২ নম্বর ব্যারাকের ২ নম্বর সেলে রয়েছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দ জানায়, সালমানকে রাখা হয়েছে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুর পাশের সেলে। রাতে খেতে দেওয়া হয় ছোলার ডাল আর রুটি কিন্তু সালমান তা খাননি। বাইরে থেকেও খাবার আনাননি তিনি। শোয়ার জন্য ৪টি কম্বল দেওয়া হয় তাকে। জেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে মেঝেতেই শুয়েছেন বলিউডের ভাইজান।

সালমান ও আসারাম
যোধপুর দায়রা আদালতে তার জামিনের আবেদন পেশ করা হয়েছে। শুক্রবার এর শুনানি হয়। আদালত জানায় শনিবারও শুনানি হবে।

এর আগে নিম্ন আদালত এই মামলার রায়ে সালমানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। ২০০৭ সালে প্রায় এক সপ্তাহ জেলও খাটতে হয়েছিল তাকে। রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সালমান। হাইকোর্টের বিচারপতি নির্মলজিত কৌর বলিউড সুপারস্টারের আবেদনে সাড়া দিয়ে তাকে বেকসুর খালাস দেন। হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, সালমান খানের লাইসেন্স করা বন্দুকের গুলি মৃত প্রাণির শরীরে পাওয়া যায়নি, তাই সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আর এজন্যই সালমানকে ‘বেনিফিট অব ডাউট’ দিয়ে মামলা থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়।
রায়ের বিপরীতে  রাজস্থান সরকার সালমানের দণ্ডের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আপিল করেছিল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই সালমানের নতুন সাজা ঘোষিত হলো।