পথচারীদের ওপর চলন্ত গাড়ি

হামলাকারীর উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার হতে চায় জার্মান পুলিশ

জার্মানির মুয়েনস্টার শহরে শনিবার পথচারীদের ওপর চলন্ত ভ্যান তুলে দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তকারীরা এখন হামলাকারীর উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়ার চেষ্টা করছেন।

Germanyশনিবারের ওই হামলায় দুইজন নিহতের পর নিজের গুলিতে নিহত হন হামলাকারী। ইয়েনস। পিস্তল দিয়ে গাড়ির ভেতরে বসেই আত্মহত্যা করেন তিনি। নিহত অন্য দুই জনের মধ্যে একজনের বয়স ৫১ বছর। আরেকজনের বয়স ৬৫ বছর।

এ ঘটনায় আহত হন আরও ৩০ জন। তাদের মধ্য অন্তত ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

হামলার পর ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনী। শহরের আকাশে টহল দেয় পুলিশের একাধিক হেলিকপ্টার।

মুয়েনস্টার পুলিশের সঙ্গে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে সিনিয়র পাবলিক প্রসিকিউটর মার্টিন বটজেনহার্ডট বলেন, তদন্ত পূর্ণোদ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এটা বলা যায় যে, এখন পর্যন্ত ওই হামলাকারীর অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কোনও অতীত ইতিহাস পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নিহত হামলাকারীর নাম জেনস আর। তার বয়স ৪৮। কোনও কোনও খবরে বলা হচ্ছে, হামলাকারী ইয়েনস-এর মানসিক সমস্যা ছিল। আগেও তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন।

রবিবার সকালে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ ও রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলিরা নিশ্চিত করেন, ৪৮ বছরের ওই ব্যক্তি ম্যুনস্টারের বাসিন্দা ছিলেন। এর আগে অবশ্য নর্থ রাইন ভেস্টফালেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হ্যারবার্ট রয়েল-ও জানান, হামলাকারী গাড়িচালক একজন জার্মান নাগরিক। পূর্ণ তদন্তের পর ঘটনার কারণ জানা সম্ভব।

মানুষের অভাবনীয় সাড়া

ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আহতদের জন্য রক্ত দিতে জড়ো হন অনেকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, মানুষের এমন স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আগে কখনও দেখা যায়নি।

এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার পরপরই সবাইকে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।

টুইটারে দেওয়া পুলিশের এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ফেসবুক ও টুইটারে কেউ যেনো গুজব না ছড়ায়। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। সিটি সেন্টার খালি করে দিন। বাড়ি ফিরে যান।'

ঘটনার সময় যারা প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন, তাদের ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার কোনও ছবি প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে।

হামলায় হতাহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এ প্রাণহানির ঘটনায় হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। সূত্র: রয়টার্স, ডয়চে ভেলে।