গাজার সবচেয়ে ‘দীর্ঘ ও গভীর’ সুড়ঙ্গ ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সবচেয়ে দীর্ঘ ও গভীর সুড়ঙ্গ ধ্বংসের দাবি করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, এই সুড়ঙ্গ দিয়েই ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েল যাওয়া আসা করতো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদোর লিবারম্যান বলেন, ইসরায়েলের আবিস্কৃত এটিই সবচেয়ে দীর্ঘ সুড়ঙ্গ। 

_100888781__100883830_mediaitem100883829-1ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস জানান, ২০১৪ সালের গাজা যুদ্ধের সময় সুড়ঙ্গটি খোঁড়া হয়। ওই যুদ্ধের সময় হামলার আশঙ্কায় ৩০টিরও বেশি সুড়ঙ্গ ধ্বংস করা হয়েছিলো। কেউ যেন আর কোন টানেল নির্মাণ করতে না পারে সেজন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন এই সেনা কমান্ডার।

তার দাবি, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র বাহিনী হামাস হামলার উদ্দেশ্যে এই সুড়ঙ্গটি খুঁড়েছে। সুড়ঙ্গটি গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া অঞ্চল থেকে শুরু হয়ে ইসরাইলী নাহাল ওজি শহরের কয়েক মিটার পর্যন্ত প্রবেশ করেছে বলে জানান তিনি। তবে টানেলটির বের হওয়ার কোন পথ নির্মাণ করা হয়নি। হামলার সুবিধার্থে এই সুড়ঙ্গটির সঙ্গে আরেকটি সুড়ঙ্গ জোড়া দেওয়া ছিলো বলেও জানান এই ইসরাইলী সেনা।

বিবিসি জানায়, সুড়ঙ্গটি গাজার কয়েক কিলোমটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এখান থেকে হামলা করা সম্ভব ছিল। কনরিকাস বলেন, ‘আমরা সুড়ঙ্গে এমন কিছু বস্তু পেয়েছি যা প্রমাণ করে যে অনেকদিন ধরেই সুগঙ্গ খোঁড়া হচ্ছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে এটি ইসরায়েলের ধ্বংস করা পঞ্চম সুড়ঙ্গ। গাজা উপত্যকায় গোপন সুড়ঙ্গের শনাক্তে গত বছর থেকে বিশেষ উপকরণ নিয়ে মাঠে নেমেছিলো ইসরায়েল। এবার তারা নতুন সুড়ঙ্গ নির্মাণ প্রতিরোধে শুধু মাটির ওপরে নয় বরং সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোয় মাটির নিচেও হাইটেক সীমান্ত বেষ্টনি স্থাপন করতে শুরু করেছে।