৫০০ কেজি ওজনের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন বোমা নিষ্ক্রিয় করতে যাচ্ছে জার্মানি

বার্লিন পুলিশ জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন একটি বোমা নিষ্ক্রিয়করণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার এ উদ্দেশ্যে জার্মানির অর্থ মন্ত্রণালয়, একটি জাদুঘর এবং একটি হাসপাতালের আংশিক খালি করে দেওয়া হবে। বুধবার পুলিশের দেওয়া ওই তথ্যের কথা জানিয়ে, বার্তাসংস্থা রয়টার্স লিখছে, বোমাটি ৫০০ কেজি ওজনের এবং ব্রিটেনের তৈরি। সেন্ট্রাল বার্লিনে নির্মাণ কাজ চলার সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ওই বোমাটির সন্ধান পাওয়া যায়।জার্মানিতে নিষ্ক্রিয় করা একটি অবিস্ফোরিত বোমা

বার্লিন পুলিশের মুখপাত্র মার্টিন হালউইগ বলেছেন, বোমা নিষ্ক্রিয় করতে কত সময় লাগবে তা বলা সম্ভব নয় এবং এ প্রক্রিয়ায় তিগেল বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না তাও অনিশ্চিত। তার ভাষ্য, এর আগেও এমন বিশাল আকারের বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বার্লিনে। আপাতত বোমাটিকে নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার প্রায় ৭০ বছর পার হয়ে গেলেও এখনও জার্মানি টনের পর টন জীবন্ত বোমা ও অন্যান্য বিস্ফোরক উদ্ধার করে। গত বছর ফ্রাঙ্কফুটের ৬০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কারণ সেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে ব্রিটিশ বিমান বাহিনীর ফেলা বিশাল বড় এক বোমার সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ২০১৬ সালে অগসবার্গেও ৫৪ হাজার বাসিন্দাকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৩.৮ টন ওজনের বোমা নিষ্ক্রিয় করার জন্য।

জার্মানির সংবাদপত্র দ্যা লোকাল লিখেছে, ১৯৪০ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত আমেরিকান ও ব্রিটিশরা জার্মানিতে প্রায় ৪০০ বিমান হামলার মাধ্যমে ৭০ হাজার টনের বোমা ফেলেছিল। ২০১১ সালের এক হিসেব মতে, ৫ হাজার ৫০০ টনের অবিস্ফোরিত বোমা, গ্রেনেড, মাইনসহ অন্যান্য বিস্ফোরক তখনও নিষ্ক্রিয় করার বাকি। সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, ২০১৩ সালে ১০ টনের একটি পরিত্যক্ত বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে আস্ত একটি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ২০১০ সালে গোটিংগানে ৩ নিহত ও ২ জন গুরুতর আহত হয়েছিল অবিস্ফোরিত বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে। আর ১৯৯৪ সালে একটি পরিত্যাক্ত বোমার বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩ জন নির্মাণ শ্রমিক।