তুরস্কে আগাম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা এরদোয়ানের

আগামী ২৪ জুন তুরস্কে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। তার ঘোষণা অনুযায়ী, এদিন দেশটির প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার রাজধানী বিরোধী দলীয় নেতা দেভলেট বাহসেলি’র সঙ্গে সাক্ষাতের পর আঙ্কারার প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।

এরদোয়ান বলেন, সিরিয়া ও ইরাক পরিস্থিতি যত দ্রুত সম্ভব অনিশ্চয়তা মোকাবিলায় তুরস্ককে বাধ্য করেছে। এসব কারণে দেভলেট বাহসেলি’র সঙ্গে আলোচনার পর আমরা ২০১৮ সালের ২৪ জুন রবিবার নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এর আগে গত মঙ্গলবার আগাম নির্বাচন ঘোষণার আহ্বান জানান দেভলেট বাহসেলি। এর একদিনের মাথায় বুধবার এক বছরেরও বেশি সময় আগে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেন এরদোয়ান। ২০১৯ সালের নভেম্বরে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

সর্বশেষ ২০১৫ সালের নির্বাচনে জয় পায় এরদোয়ানের দল ক্ষমতাসীন একে পার্টি। পরাজয়ের শঙ্কা নিয়েই শেষ পর্যন্ত ওই নির্বাচনের ফল ঘরে তোলে দলটি। কিন্তু একে পার্টিকে কেন আবারও আস্থায় নিয়ে ভোট দিলো মানুষ? এর কারণগুলো কী? নির্বাচন পরবর্তী সময়ে এমন প্রশ্নের উত্তরে একে পার্টির এমপি রাভজা কাভাকচি বলেছেন, তুরস্ক বদলে গেছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান-এর সময়ে তুরস্ক এমনই পাল্টে গেছে যে, আমরা এখন এমন সব ইস্যু যেমন- মানুষের বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলি। এমনটা আগে সম্ভব ছিল না।

পশ্চিমা দুনিয়ার কাছে এরদোয়ান একজন কর্তৃত্ববাদী শাসক। সমালোচকরা বলছেন, এরদোয়ান আসলে অটোমান সাম্রাজ্য বা উসমানিয়া খিলাফতের পুনঃপ্রবর্তন চান। তার শাসনামলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় তুরস্কের জাহাজভর্তি ত্রাণসামগ্রী পাঠানো, মিসরে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুসলিম ব্রাদারহুডের কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার কঠোর সমালোচনা, মার্কিন ব্লকের বাইরে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো এবং সিরিয়ায় কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনার মতো বিভিন্ন ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা, সমীকরণের জন্ম দেয়।