বিমান ছিটকে পড়ার ১২ ঘণ্টা পর সচল নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দর

নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে আবারও দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত মাসে অবতরণের সময় বাংলাদেশের একটি বিমান বিধ্বস্তে ৫১ জনের প্রাণহানির পর এবার রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়েছে মালয়েশিয়াগামী একটি বিমান। ১৩৯ যাত্রী নিয়ে মালিন্দ এয়ালাইন্সের বিমানটি ছিটকে পাশের মাঠে পড়লেও এতে কেউ হতাহত হয়নি। বৃহস্পতিবার রাত ১০.৪৫ মিনিটের দিকে এই দুর্ঘটনার পর ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ ছিল বিমানবন্দরের কার্যক্রম। নেপালের সংবাদমাধ্যম দ্য হিমালয়ানের খবরে বলা হয়েছে শুক্রবার দুপুরের দিকে আবারও সচল হয়েছে বিমানবন্দর।

ত্রিভুবন বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়া বিমান

গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ থেকে ইউএস বাংলার একটি বিমান ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়ে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৫১ জনের প্রাণহানি ঘটে। বিমান বিধ্বস্তের কারণ নিয়ে তদন্ত চললেও প্রাথমিকভাবে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে পিইলটের যোগাযোগগত ত্রুটিকে দায়ী করে থাকে। কন্ট্রোল টাওয়ারের এই ত্রুটির কথা আগেও নেপালের সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। বৃহস্পতিবার মালিন্দর এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি কোনও ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই উদ্ধার করা হয়েছে।

বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর বলেছেন, সচল হওয়ার পর বিমানে সমস্যা শনাক্ত করবার পর এর গতি কমিয়ে নিয়ে উড্ডয়ন বাতিল করেন পাইলট। তবে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে ঘাসের মাঠে পড়ে ৩০ মিটার গিয়ে থেমে যায় বিমানটি। আরোহীরা সবাই নিরাপদে আছেন জানালেও প্রেম নাথ বিমানের সম্যসাটি কি ছিল তা জানাতে পারেননি।

প্রেম নাথ জানান, শুক্রবার দুপুরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই বিমানটি সরিয়ে নেওয়ার পর আবারও সচল হয়েছে ত্রিভুবন বিমানবন্দর।

গত মাসে বাংলাদেশের বিমান বিধ্বস্তের আগেও ২০১৫ সালের মার্চে তুরস্কের একটি বিমান ছিটকে পড়ে চারদিন ধের বন্ধ ছিল ত্রিভুবন বিমানবন্দর।