লিফলেট সতর্কতা সত্ত্বেও গাজা সীমান্তে হাজারও ফিলিস্তিনি, ইসরায়েলের গুলিতে নিহত ২

আকাশ থেকে লিফলেট ছড়িয়ে সতর্কতা দিয়েও অবরুদ্ধ গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের রুখতে পারেনি ইসরায়েল। ভূমি দিবস উপলক্ষে টানা চতুর্থ সপ্তাহের মতো গাজা সীমান্তে জড়ো হয়েছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হারেৎজ দুই ফিলিস্তিনির নিহতের খবর দিয়েছে। জাবালিয়ার পূর্ব সীমান্তে ইসরায়েলের সেনা সদস্যদের গুলিতে তারা নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বিকেল চারটা পর্যন্ত এদিন আহত হয়েছেন আরও ৮০ ফিলিস্তিনি নাগরিক।

noname
১৯৭৬ সাল থেকে বছরের ৩০শে মার্চ ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের দখলদারিত্বের প্রতিবাদে ‘ভূমি দিবস’ পালন করছে। ওইদিন নিজেদের মাতৃভূমির দখল ঠেকাতে বিক্ষোভে নামলে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে ৬ ফিলিস্তিনি নিহত হন। ২০০৭ সাল থেকে গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। এবছর ভূমি দিবস উপলক্ষে টানা ছয় সপ্তাহের কর্মসূচি নিয়েছে ফিলিস্তিনিরা। প্রতি সপ্তাহে গাজা সীমান্তে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত এই কর্মসূচি ঘিরে নিহত হয়েছেন ৩৪ জন আর আহত হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই ঘটনার স্বাধীন তদন্তের দাবি তুলেছে।
গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভের থিম নির্ধারণ করা হয়েছিল ইসরায়েলের পতাকা পোড়ানো। আর শুক্রবারের বিক্ষোভটি আগের বিক্ষোভে নিহতদের স্মরণে উৎসর্গ করা হয়। এদিন ভোর থেকেই আকাশ থেকে গাজা সীমান্ত এলাকায় লিফলেট চড়াতে শুরু করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। সেনা সদর দফতরের স্বাক্ষরে ছড়ানো ওই লিফলেটে গাজার সীমান্ত বেড়া থেকে ফিলিস্তিনিদের দূরে থাকার আহ্বান জানানো হয়। ওই লিফলেটে বলা হয়, তোমরা সহিংস ঝামেলায় অংশ নিচ্ছ। হামাস সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। যেকোনও পরিস্থিতির জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। বেড়া থেকে দূরে থাকো আর এর ক্ষতি করার চেষ্টা করো না।
তবে এই সতর্কতা উপেক্ষা করে সেখানে জড়ো থাকে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। এদিন প্রায় ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি তাঁবু খাটিয়ে গাজা সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে। এই বিক্ষোভের আয়োজকেরা বলছেন, আগামী ১৫ মে-এর আগে এই বিক্ষোভ থামবে না।