দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের উন্নতি উল্লেখযোগ্য: বিশ্বব্যাংককে ভারতের অর্থসচিব

দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে বলে বিশ্বব্যাংককে জানিয়েছেন ভারতের অর্থসচিব সুভাষ গার্গ। তিনি বলেন, ‘চলতি বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ, যা ভারতের চেয়ে দশমিক ২ শতাংশ কম।’ বিশ্ব ব্যাংক ডেভেলপমেন্ট কমিটির সামনে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার সময় এসব কথা বলেন তিনি।

ভারতের অর্থ বিভাগের সচিব সুভাষ গার্গ

সুভাষ গার্গ বলেন, ভারত এখন অর্থনীতিতে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল দেশ। আর বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয়। তিনি বলেন, বিগত ২০ বছরে ২ কোটি মানুষকে দারিদ্রের কষাঘাত থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এখন দারিদ্রসীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা ২৪ শতাংশ।

৯৭ তম এই বৈঠকে সুভাষ আরও বলেন, জনসম্পদ উন্নয়নেও বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি করছে। শিশুমৃত্যু হার কমিয়ে এনেছে ৩.৪ শতাংশে আর মাতৃত্বকালীন মৃত্যু এখন ১ লাখের ১৭৬ জন। বৈশ্বিক বিবেচনায় এটা খুবই ইতিবাচক বলে জানান তিনি।

ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই সচিব আরও বলেন, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের উন্নতি এটাই স্বাক্ষ্য দেয়।  

ইন্টারন্যাশনাল মনেটরি ফিন্যান্স কমিটির সামনে তার সঙ্গে কথা বলেন ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর উরজিত প্যাটেল বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অনেক উন্নতি হচ্ছে।

২০১৮ সালের জুনে শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৭ শতাংশ হওয়ার কথা। এর আগের বছরে এটি ছিল ৭.৩ শতাংশ। বন্যায় খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ার পরও প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশের বেশি হওয়ার কথা ভাবা হচ্ছিলো। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

উরজিত প্যাটেল বলেন, বাংলাদেশ সরকার এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে দ্বিপাক্ষিকসহ বেশ কিছু দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করছে। তিনি বলেন, মনেটরি পলিসি সবসময়ই সহায়তা দিয়ে যাবে। তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতির কারণে ব্যাংকিং ব্যবস্থার ক্ষতি হয়েছে। এই বিষয়ে কাজ করার চেষ্ট করাছ কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’