সুইডেনের খামারবাড়িতে জাতিসংঘের বিরল বৈঠক

নিউ ইয়র্কের বাইরে দক্ষিণ সুইডেনের একটি খামারবাড়িতে এক বিরল বৈঠকে বসেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলো। প্রতিবছর অবকাশ যাপনের জন্য এই ধরণের আয়োজন হলেও এবারের অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে সদস্য দেশগুলোর বিরাজমান গভীর বিভক্তি থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা হবে। সুইডেনের আয়োজকদের আশা সিরিয়ার শান্তি প্রক্রিয়ায় তারা নতুন প্রেরণা তৈরি করতে পারবেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।

সুইডেনের এই খামারবাড়িতে বসেছে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক

বিভিন্ন সমস্যা সমধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বার্ষিক এই আলোচনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে ১৫টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকটি সাধারণত নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবার ওই বৈঠকটি বাকাকরা এলাকার ওই খামারবাড়িতে অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দেয় সুইডেন। পরিষদের সদস্য না হলেও সুইডেনের আমন্ত্রণেই সেখানে বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এই খামারবাড়িটির মালিক জাতিসংঘের দ্বিতীয় মহাসচিব দ্যাগ হ্যামারশোল্ডের। ১৯৬২ সালে আফ্রিকায় এক বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। নোবেল সাহিত্য পুরস্কার প্রদানকারী সুইডিশ একাডেমির গ্রীষ্মকালীন বাসস্থান হিসেবে খামারবাড়িটির একটি অংশ ব্যবহৃত হয়।

জাতিসংঘের নিযুক্ত সুইডেনের উপরাষ্ট্রদূত কার্ল সাকু বলেন, সিরিয়ার দৌমায় রাসায়নিক হামলার অভিযোগ তুলে ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিমান হামলা চালানোর এক সপ্তাহ পর পুনরায় আলোচনা শুরু করতে এই বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়। এছাড়া নম্রতা ও ধৈর্য্যের মাধ্যমে নতুন গতি সৃষ্টিও এই বৈঠকের পরিকল্পনায় রয়েছে। নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের তিনি বলেন,  বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন পরিষদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়াই সিরিয়ায় ওই বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। এই হামলা নিয়ে সিরিয়ার মিত্র জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য রাশিয়ার সঙ্গে অপর তিনি স্থায়ী সদস্য দেশ ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।

শুক্রবার সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্গর ওয়ালস্ট্রম সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বৈঠকে সিরিয়া সংকটের পুরো সমাধান হয়ে যাওয়ার মতো অতিরিক্ত আশার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, সবকিছুর ওপরে জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদের সিরিয়ার যুদ্ধ নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী ভূমিকা নিয়ে আলোচনার জন্য সময় থাকা প্রয়োজন।