ঢাকা থেকে পরীক্ষামূলক বাস নেপাল যাচ্ছে সোমবার

সড়ক যোগাযোগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে ঢাকা থেকে একটি বাস পরীক্ষামূলকভাবে নেপালের পথে রওনা করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বাংলা ভার্সনে বলা হয়েছে, দাতা সংস্থার প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের মোট ৪৫ জন কর্মকর্তাকে যাত্রী হিসেবে নিয়ে বাসটি রাজধানীর কমলাপুর থেকে সোমবার রওনা হচ্ছে। রাস্তার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দেখতে যাওয়া বাসটি তিনদিন পর কাঠমান্ডু পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারি তথ্য বাতায়নের ছবি

বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বিবিসি জানিয়েছে ঢাকা থেকে নেপালের কাঠমান্ডু পর্যন্ত মেটো সড়কের দৈর্ঘ্য ১১০৪ কিলোমিটার। বাসটির যাত্রাপথ হবে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা, ভারতের শিলিগুড়ি হয়ে নেপালের কাকড়ভিটা স্থলবন্দর দিয়ে কাঠমান্ডু পর্যন্ত। এর মধ্যে ঢাকা বাংলাবান্ধার দূরত্ব প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার। বাংলাবান্ধা থেকে নেপালের কাঁকরভিটা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৫৪ কিলোমিটার। কাঁকরভিটা থেকে কাঠমান্ডুর দূরত্ব প্রায় ৬০০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২২০ কিলোমিটার পাহাড়ি খাড়া রাস্তা।

বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব চন্দন কুমার দে বিবিসিকে জানিয়েছেন যাত্রী, যাত্রীবাহী বাস ও মালামালের জন্য কার্গো পরিবহন সুবিধা - তিনটি বিষয়কেই বিবেচনায় নিয়েই পরীক্ষামূলক বাসটি রওনা হচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ তিনদিন সময় নিয়ে বাসটি সেখানে পৌঁছাবে।

চন্দন কুমার দে বিবিসিকে বলেন, এবার আমরা থেমে থেমে যাবো। এক হাজার কিলোমিটার সড়ক। তবে এবার আমরা বুঝবো যে কেমন সময় লাগবে। তিনি জানান, এই পরীক্ষামূলক যাত্রার পর ভারত-বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় একটি চুক্তি স্বাক্ষরের পর যাত্রীদের জন্য এই সেবা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। বাস সুবিধা চালু হলে বিমানভাড়ার চেয়ে কম খরচে যাত্রীরা নেপাল যেতে পারবেন বলে জানান চন্দন কুমার দে।

বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভূটানের মধ্যে সড়কপথে পণ্য ও যাত্রীবাহী যান চলাচল উন্মুক্ত করে দেবার লক্ষ্যে এক চুক্তির খসড়া আগেই বাংলাদেশের মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত হয়েছে।