ভারতের এক মন্দিরে ৪০০ বছর পর পুরুষের প্রবেশ

ভারতের এক মন্দিরে চার শতাব্দীর বেশি সময় পর পুরুষরা প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন। উড়িষ্যার এই মন্দিরে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ ছিল। শুধু দলিত নারীরাই এখানে প্রবেশ করতে পারতেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ এপ্রিল নারী পুরোহিতরা পাঁচজন পুরুষকে প্রবেশের অনুমতি দিয়ে মূর্তিগুলো সরানোর কথা বলেন।

 

odisha-temple-cover

শতভয়া গ্রামে পানি ওঠায় আশঙ্কা করা হচ্ছিলো ‍মূর্তিগুলো ডুবে যেতে পারে। এরপর মূর্তিগুলো সরানোর জন্য পাঁচজন পুরুষকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। ‘মা পাঞ্চুবারাহি’ নামের ওই মন্দির দেখাশোনা করেন পাঁচজন দলিত নারী পুরোহিত। প্রতিদিনের পূজাপাঠও তারাই করেন। বিগত ৪০০ বছরে এর কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। এবারই ওই মন্দিরে প্রথম ঢুকতে পারলেন পুরুষরা।

বৈশ্বিক উষ্ণতায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে থাকায় হুমকির মুখে পড়েছে সৈকতের কাছেই অবস্থিত মন্দিরটি। স্থানীয়দের বিশ্বাস, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে এই মন্দিরটি তাদের রক্ষা করে। সেখানে অবস্থিত পাঁচটি মূর্তির প্রত্যেকটি দেড় টনের মতো ভারি। তাই নারীদের পক্ষে সেগুলো সরানো সম্ভব ছিল না। পরে ভেতরের রুম থেকে সেগুলো উপরে নেওয়ার জন্য প্রবেশের অনুমতি পান পুরুষরা।

সাগরের কারণে শতভয়া গ্রামের অনেকটা অংশ হারিয়ে গেছে। ১৯৩০ সালে এর আয়তন ছিল ৩৫০ বর্গ কিলোমিটার। আর এখন এর আয়তন মাত্র ১৪০ কিলোমিটার।