১১ দিনের বিক্ষোভের পর আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ

গত ১১ দিনের বিক্ষোভের মুখে পর পদত্যাগ করেছেন আর্মেনিয়ার প্রেসিডন্ট সের্জ সার্জিয়ান। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে এমনটা জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।  প্রেসিডেন্ট বলেন,  ‘রাজপথে আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে। আমি আপনাদের দাবি মেনে নিচ্ছি।’

আর্মেনিয়ার প্রেসিডন্ট সের্জ সার্জিয়ান

এই মাসের শুরুতে নিজের শপথ ভেঙে আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট থেকে পদত্যাগ করে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন নেন সাবেক প্রেসিডেন্ট সের্জ সার্জিয়ান। ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টি তাকে এই মনোনয়ন দেয়। এরই প্রতিবাদে গত ১৩ এপ্রিল থেকে বিক্ষোভ শুরু করেছেন বিরোধীরা। তাকে ক্ষমতায় দেখতে না চাওয়ার কারণ হিসেবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, তার সরকারের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাবে বিশেষ ব্যক্তিদের উন্নতির সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ৬৩ বছর বয়সী সার্জিয়ান এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লড়বেন না তিনি। তবে এই মাসের শুরুতে রিপাবলিকান পার্টি তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদের জন্য মনোনীত করে। নিজে প্রেসিডেন্ট থাকার সময়ে সংবিধান পরিবর্তন করে প্রেসিডেন্সিয়াল ব্যবস্থা থেকে একটি সংসদীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। ওই সাংবিধানিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্টের পদকে খানিকটা আনুষ্ঠানিক রেখে সত্যিকারের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ন্যস্ত করা হয়।

এরই প্রতিবাদে গত ১৩ এপ্রিল বিক্ষোভ শুরু হলে দাঙ্গা পুলিশ তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করে। অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ৯ দিন ধরে চলা বিক্ষোভের মধ্যে সসশীরে হাজির হয়ে রবিবার আলোচনার প্রস্তাব দেন প্রেসিডেন্ট সার্জিয়ান।এরপর সোমবার বিক্ষোভের ১০ম দিনে বিক্ষোভে যোগ দেয় সেনাসদস্যরাও। এরপর পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট। 

এর আগে বিরোধী দলীয় নেতা নিকোল পাশিয়ানকে মুক্তি দেওয়া হয়। রবিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক আলোচনায় অং নিয়েছিলেন তিনি।   রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণ শুরুর আগে বলা হয়, শেষবারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভাষণ দিচ্ছেন সার্জিয়ান। প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি ভুল, নিকোল ঠিক। এই পরিস্থিতি সমাধানে বেশ কিছু উপায় আছে। তবে আমি নিচ্ছি না। নেতা হিসেবে এই অফিস ত্যাগ করলাম আমি।’