টরেন্টোতে গাড়ি হামলায় অন্তত চারজন নিহত, হামলাকারী আটক

কানাডার টরেন্টোতে পথচারীদের ওপর গাড়ি হামলার ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গাড়ি ও তার চালককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কানাডার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিবিসি নিউজ এ খবর জানিয়েছে।

টরেন্টোতে হামলার পর পুলিশ ও উদ্ধারকারীদের তৎপরতা

পুলিশের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টা) দিকে টরেন্টোর ইয়োনগি সড়কে এ ঘটনা ঘটনা ঘটে। ওই সময় পথচারীরা রাস্তা পার হওয়ার জন্য একটি ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। হামলার পর ক্যাভার্ড ভ্যানটি নিয়ে চালক পালিয়ে যায়।

সিবিসি নিউজের খবরে বলা হয়, হামলার কিছুক্ষণ পরে অভিযুক্ত গাড়ি ও তার চালককে আটক করা হয়। তবে হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে সিবিসি জানায়, তিনি ঘটনাস্থলে চারটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেছেন। খবরে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, সশস্ত্র পুলিশ সদস্যরা জায়গাটি ঘিরে রেখেছে। তারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন। একটি কমলা রংয়ের ব্যাগে করে একটি লাশ অ্যাম্বুলেন্সে তোলার ছবিও দেখা গেছে।

হামলার পর ঘটনাস্থলের ছবি

টরেন্টো পুলিশের মুখপাত্র গ্যারি লংয়ের বরাত দিয়ে কানাডিয়ান ব্রডকাস্টার গ্লোবাল নিউজের খবরে বলা হয়, একটি সাদা রংয়ের কাভার্ড ভ্যান পথচারীদের ওপর চাপা দেয়। গাড়িটি ৮ থেকে ১০ জনকে আঘাত করে। তবে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ ঘটনায় হতাহত ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এই ঘটনার কথা শুনেছেন বলে জানান। ওই সময় তিনি বলেন, ‘আক্রান্ত সবার জন্য আমাদের হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে।’ ট্রুডো এ ঘটনা নিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।

আটক সন্দেহভাজন হামলাকারী

ঘটনার পর পুলিশ জনসাধারণকে ওই পথ ব্যবহার করতে নিষেধ করে দিয়েছে। এছাড়া আশেপাশের সড়ক ও রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টরেন্টো ট্রানজিট কাউন্সিলের মুখপাত্র ব্র্যাড রোজ বলেন, শেপার্ড স্টেশনের উত্তর দিককার ট্রেনের যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নর্থ ইয়র্ক কেন্দ্রীয় স্টেশনকে এড়িয়ে ফিঞ্চ স্টেশনের দিকেও খালি ট্রেন পাঠানো হয়েছে।