যুক্তরাষ্ট্রে রেস্টুরেন্টে হামলার প্রধান সন্দেহভাজন গ্রেফতার

যুক্তরাষ্ট্রের টেনিসি রাজ্যের ন্যাশভিলে রেস্টুরেন্টে হামলার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ন্যাশভিলের উডেড এলাকা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। তবে হামলাকারী মানসিক রোগাক্রান্ত ও এক বছর আগেও তাকে একবার অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার সন্দেহভাজন হামলাকারী ট্রাভিস রেইকিং

রবিবার ন্যাশভিলের ওয়াফেল হাউজ রেস্টুরেন্টে বন্দুক নিয়ে হামলার ঘটনায় চার জন নিহত হন। হামলাকারী একটি পিকআপ ট্রাকে করে রেস্টুরেন্টে যায়। সেখানে রেস্টুরেন্টের বাইরে দুই জনকে গুলি করে হত্যা করে সে। এরপর ভেতরে এলোপাথাড়ি গুলিতে আরও দুইজন নিহত হন। আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। ওই সময় জেমস শ নামে এক ব্যাক্তি তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে বন্দুকটি কেড়ে নেন। ওই সময় হামলাকারী নগ্ন অবস্থায় সেখান থেকে পালিয়ে যায়।   

গ্রেফতারের পর প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, রেইকিং নামের ওই হামলাকারীর জামা ছিঁড়ে গেছে আর তার মুখে আচড়ের চিহ্ন রয়েছে। তার কাছে থাকা ব্যাগ থেকে একটি বন্দুক ও গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারের পর সে কোনও প্রশ্নের জবাব না দিয়ে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

রাজ্যের শীর্ষ ১০ সন্ত্রাসীর তালিকায় যুক্ত হওয়ার পর রেইকিংকে খুঁজতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১৬০ জন কর্মকর্তা কাজ করছিলেন। তদন্তকারীরা এখনও ওই হামলার কোনও কারণ বের করতে পারেনি। তদন্ত দলের মুখপাত্র ডন অ্যারোন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘তিনি কেন ওয়ফেল হাউজ রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন তা আমরা জানি না।’  

ন্যাশভিলের মেয়র ডেভিড ব্রিলে বলেন, স্থানীয় একজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রেইকিংকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই, এটিএফ ও সোয়াত বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয় পুলিশও কাজ করেছে।

গত দুই বছরে বিভিন্ন স্থানে গোলাগুলির কারণে রেইকিংকে পুলিশ আগে থেকেই চিনতো। পুলিশের তথ্যমতে, তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত। তার ধারণা, টেইলর সুইফটসহ অনেক ব্যক্তি তাকে সব সময় অনুসরণ করেন। গত বছর হোয়াইট হাউজের কাছে একটি সংরক্ষিত এলাকায় অস্ত্র হাতে ঢুকে পড়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। ওই সময় তিনি পুলিশের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। পুলিশ তাকে তার বাবা জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছিল।

এটিএফ’র একজন মুখপাত্র বলেন, গ্রেফতার ট্রাভিস রেইকিংয়ের বাবা জেফরি রেইকিং তার ছেলের হাতে অস্ত্র ফিরিয়ে দিয়ে থাকলে অস্ত্র আইন লঙ্ঘণ করেছেন। কারণ তার কাছে কোনও ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া নিষিদ্ধ করা ছিল।