বাংলাদেশের সাংবাদিকদের দুই ভীতি: জঙ্গিবাদ ও তথ্যপ্রযুক্তি আইন

সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোটার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ)-এ প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি আইনের সমালোচনা করা হয়েছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় সোচ্চার ওই সংগঠন বলছে, ইসলামী জঙ্গির হাতে খুন হওয়া কিংবা সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বলি হয়ে কারাভোগের ভয়ে দেশের সাংবাদিক-ব্লগাররা স্ব-আরোপিত সেন্সরশিপের মধ্যে রয়েছেন। রিপোটার্স উইদাউট বর্ডার-এর তালিকায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান গতবারের মতোই ১৪৬ তম স্থানে। তালিকায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার দিক দিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে নরওয়ে। আর তালিকায় সবার নিচে ১৮০তম স্থানে জায়গা হয়েছে উত্তর কোরিয়ার।
noname

প্রতিবছরই বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা-সূচক প্রকাশ করে আরএসএফ। সূচকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে পাঁচটি পর্যায়ে ভাগ করে তারা। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো ব্ল্যাকলিস্টেড বা কালোতালিকাভুক্ত হয়। এর চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে রাখা হয় লাল তালিকায়। কিছুটা ভালো অবস্থানে থাকা দেশগুলো চিহ্নিত হয় হলুদ রং দিয়ে। আর যে সব দেশ সংবাদমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ভোগ করে, সেই দেশগুলো অন্তর্ভুক্ত হয় সাদা তালিকায়। এবারের তালিকাতেও অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে লাল তালিকায়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশে বলা হয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ একটি সেক্যুলার দেশ হলেও সেখানে সংবিধান ও ইসলামের সমালোচনা ভালো চোখে দেখা হয় না। দেশের সংস্কৃতিকে বহুত্ববাদী আখ্যা দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে মহামারির মতোন করে সাংবাদিক নিপীড়নের ঘটনা এবং সেইসব ঘটনায় দায়ীদের দায়মুক্তির সংস্কৃতির কারণে সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্র ও স্বআরোপিত সেন্সরশিপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেদনে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের সমালোচনা করে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে ২৫ সাংবাদিকসহ কয়েকশ ব্লগার ওই আইনে মামলার কবলে পড়েছেন।