প্রথা ভাঙবেন শি জিনপিং - নরেন্দ্র মোদি

প্রথাগত কূটনৈতিক সংলাপ, কৌশলগত প্রস্তুতি, স্নায়ুর যুদ্ধ, মুখোমুখি সংঘাত— ডোকলাম কাণ্ডের জেরে ধাক্কা খেয়েছে চীনকে মোকাবিলার ভারতের যাবতীয় প্রস্তুতি। তাই এবার সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মুখোমুখি হতে হচ্ছে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর।

nonameভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বৈঠক হবে একান্তই ‘ঘরোয়া’ পরিবেশে। কোনও পূর্বনির্ধারিত আলোচ্যসূচি থাকবে না। মন্ত্রণালয়ের নির্দিষ্ট কোনও প্রতিনিধি দলের বৈঠক হবে না। যৌথ বিবৃতি অথবা যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনও হবে না। এমনকি শি-মোদি বৈঠকের নোটও নেওয়া হবে না।

কূটনৈতিক শিবিরের মতে, এই অভিনব খোলামেলা পরিবেশে চীনের সঙ্গে সম্পর্কে আস্থা বাড়ানোটাই উদ্দেশ্য মোদি’র। ওবর (ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড) প্রকল্পের অধীনে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর থেকে শুরু করে এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তি— সব বিষয় নিয়েই খোলামেলা আলোচনা করতে চায় দিল্লি। কেননা কোনও বাঁধাধরা, পূর্ব নির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি থাকলে সে কাজে বাধা আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে জুন মাসে এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে ফের চীন যাচ্ছেন মোদি। কিন্তু সেখানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য যথেষ্ট সময় মিলবে না। তাই এই উদ্যোগ। ডোকলামের মতো ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করাটা এই মুহূর্তে মোদি সরকারের অগ্রাধিকার। দুই দেশের মধ্যে যৌথ মহড়া ফের শুরুর লক্ষ্যও রয়েছে।

আসন্ন শি-মোদি বৈঠক নিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতায় কথা বলেছেন চীনের কনসাল জেনারেল মা ঝানউ। তিনি বলেন, ‘শীর্ষ নেতারা শুধু নন, সবাইকেই ইতিবাচক পদক্ষেপের বার্তা দিতে হবে। আপনারাও সামাজিক মাধ্যমে ইতিবাচক বার্তা দিন। আপনাদের মতামত অন্যদের প্রভাবিত করতে পারে।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চীন সফর নিয়েও আশাবাদী ঝানউ। তার মতে, দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রীদের বেইজিং সফর গুরুত্বপুর্ণ। তাতে রাজ্যগুলোতে চীনা বিনিয়োগের পথ সুগম হয়। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও শিগগিরই চীন সফরে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি। সূত্র: আনন্দবাজার।