‘নিজের স্বাস্থ্য সনদ নিজেই লিখেছিলেন ট্রাম্প’

২০১৫ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাস্থ্য ‘বিস্ময়কর রকম চমৎকার’ বলে যে চিকিৎসা সনদ দেওয়া হয়েছিল, সেটি ট্রাম্প নিজেই লিখেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন টেলিভিশনকে এমন তথ্য দিয়েছেন খোদ ট্রাম্পের সাবেক চিকিৎসক হ্যারল্ড বোর্নস্টেইন।

২০১৫ সালের চিকিৎসা সনদে বলা হয়েছিল, 'এতদিন যতজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাস্থ্য সবচেয়ে ভালো। তার শারীরিক শক্তি এবং কর্মক্ষমতা অসাধারণ। তার রক্তের চাপ এবং গবেষণাগারের প্রতিবেদন বিস্ময়কর রকম চমৎকার। পুরো বছরজুড়ে তিনি সাত কেজি ওজন কমিয়েছেন। তার ক্যান্সারের কোনও লক্ষণ নেই বা জয়েন্ট সার্জারি হয়নি।’

সে সময় টুইট করে ট্রাম্প বলেছিলেন, '’আমি ভাগ্যবান যে, আমার শরীরে সেরা জিন রয়েছে।’ তবে এখন চিকিৎসক বোর্নস্টেইন জানিয়েছেন, তাকে যেভাবে বলা হয়েছে, তিনি শুধু সেভাবে ওই চিকিৎসা সনদটি বানিয়েছিলেন। সেটি তার পেশাদার বিশ্লেষণ ছিল না।

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে অবশ্য এখনও পর্যন্ত চিকিৎসক হ্যারল্ড বোর্নস্টেইন-এর এই বক্তব্যের বিষয়ে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বোর্নস্টেইন বলেন, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের দেহরক্ষী একদিন তার অফিসে এসে 'অভিযান চালিয়ে' তার চিকিৎসা সংক্রান্ত সব কাগজপত্র নিয়ে যায়।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক এই চিকিৎসক এতদিন পর এখন কেন এ বিষয়ে মুখ খুললেন তা অবশ্য পরিষ্কার নয়।

গত জানুয়ারিতে মানসিক সুস্থতা নিয়ে বিতর্কের জেরে তিন ঘণ্টা ধরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এরপর তার হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক রনি জ্যাকসন বলেছিলেন, ‘তার মস্তিষ্কের দক্ষতা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই।’

ইতোপূর্বে হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক বছরের জীবন কাহিনী নিয়ে প্রকাশিত বই 'ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি: ইনসাইড দ্য ট্রাম্প' এ বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এতে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের বিশ্বস্ত লোকজন এমনকি হোয়াইট হাউসের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারাই মনে করেন, ট্রাম্প মানসিকভাবে সুস্থ নন। তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের যোগ্য নন। ট্রম্প অবশ্য নিজের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সব ধরনের সন্দেহ উড়িয়ে দিয়ে বইটিকে 'কল্পকাহিনী' হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন। সূত্র: বিবিসি।