ভারতে ধূলিঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৫, আরও ঝড়ের আশঙ্কা

ভারতের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ ধূলিঝড়ে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর মধ্যেই উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আবারও ধূলিঝড় আঘাত হানার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দফতর। দুর্যোগ মোকাবিলার কাজে দায়িত্বপ্রাপ্তরা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, অন্তত ২০ বছরের মধ্যে এ ধরনের ঝড়ে এতো বেশি সংখ্যক প্রাণহানি হয়নি। বৃহস্পতিবার (৩ মে) বেশিরভাগ প্রাণহানি হয়েছে বজ্রপাতে।

ধুলিঝড়
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার প্রবল ধূলিঝড়ে উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উচ্চগতির বাতাস আর বজ্রপাতে অনেক গ্রাম বিধ্বস্ত হয়েছে, দেয়াল ভেঙে পড়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশেও ঝড়ে প্রাণহানি হয়েছে।

ধূলিঝড়ে উত্তরপ্রদেশের আগ্রা শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর রাজস্থানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঢোলপুর জেলা। ভারি বৃষ্টিতে দানা মান্ডিতে রাখা কৃষকদের গম নষ্ট হয়ে গেছে। কারণ, ফসল ঢাকা দেওয়ার মতো জিনিসপত্র কৃষকদের কাছে ছিল না। কৃষকরা ক্ষতিপূরণ ও ফসল সুরক্ষার সরঞ্জামের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে মান্ডিগুলো থেকে তারা ফসল সরিয়ে নিয়ে যেতেও চাইছেন।

আবহাওয়াবিদ হিমাংশু শর্মা এবিপি আনন্দকে বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজস্থানে হাওয়ার গতি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে ফের ধূলিঝড় হতে পারে। ঝড়ে উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থান সীমান্তবর্তী অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে করৌলি ও ধোলপুর অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।’

নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪ লাখ রুপি প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। রাজস্থানে দুর্যোগ মোকাবিলা ও ত্রাণ বিতরণ সংক্রান্ত সচিব হেমন্ত গেরা বিবিসিকে বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে দায়িত্বে আছি। আমার দেখা সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এটি।’

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৩ মে) বেশিরভাগ প্রাণহানি হয়েছে বজ্রপাতের কারণে। ভারতে প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ২০১৪ সালে ২,৫৮২ জন এবং ২০১৫ সালে ২,৬৪১ জন মানুষ বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছে।