মার্কিন কূটনীতিককে পাকিস্তান ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পাকিস্তানে নিযুক্ত এক মার্কিন কূটনীতিককে দেশত্যাগে বাধা দিয়েছে ইসলামাবাদ। এক সড়ক দুর্ঘটনায় জড়িত থাকার কারণে তাকে বাধা দেওয়া হয়। এক মার্কিন বিমান তাকে নিতে পাকিস্তানে এলেও না নিয়েই ফিরে যেতে হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

pakistan-us-flag-reuters-650_650x400_81465912707প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে ইসলামাবাদে ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করে ইমানুয়েলের ল্যান্ডরোভার গাড়ি এক মোটরবাইককে ধাক্কা মারে। এতে মোটরবাইকের দুই আরোহীর মধ্যে একজন নিহত এবং অপরজন আহত হন। ঘটনার সময় মার্কিন কূটনীতিক জোসেফ ইমানুয়েলই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মার্কিন ডিফেন্স ও এয়ার অ্যাটাশে জোসেফ ইমানুয়েল হলের পাকিস্তান ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র এ বিষয়ে কিছু জানাতে চাননি। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্রও কোনও মন্তব্য করেনি। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তার কারণে আমরা এখনই কিছু বলতে পারছি না।’

কূটনৈতিক দায়মুক্তি আছে এমন ব্যক্তি কোন কারণে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার মুখে পড়লে তাকে প্রথমে তার দায়মুক্তি থাকার কথা জানাতে হয়। তারপর পুলিশ সেই তথ্য জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের কাছে ওই ব্যক্তির বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তারপর দেশটির রাষ্ট্রদূতের লিখিতভাবে নিশ্চিত করার কথা যে ওই ব্যক্তির কূটনৈতিক দায়মুক্তি রয়েছে। এই তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জানানোর কথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট থানা আদেশ পেলে ছেড়ে দেয় কূটনৈতিক দায়মুক্তি থাকা ব্যক্তিকে। কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তার ক্ষেত্রে এই নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। দুর্ঘটনার পর কর্নেল জোসেফ ইমানুয়েল হলকে কোহসার থানায় নিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও পুলিশ দাবি করেছে, তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়েছিল।

এপ্রিলের ৭ তারিখ হলের গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেলটি দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে নিহত হন আতিক বেগ। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ২২ বছর। মূলত মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। অপর আরোহী তার আত্মীয়। আহত হওয়া ওই ব্যক্তির নাম রাহিল আহমেদ।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের গাড়িটি যখন রাস্তা পার হচ্ছিল, তখন রাস্তায় লাল আলো জ্বলছিল। অর্থাৎ গাড়িটির তখন রাস্তা পার হওয়ার কথা ছিল না। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহসান ইকবাল টুইটারে লিখেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একজন কূটনীতিকের সংশ্লিষ্টতা থাকা যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে, তাতে স্পষ্টতই ট্রাফিক আইন ভঙ্গ হতে দেখা গেছে।