মেক্সিকোর আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১২৯ কোটি টাকা পাচার করেছে হ্যাকাররা

মেক্সিকোর তিনটি ব্যাংকসহ পাঁচটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ডলার পাচার করেছে হ্যাকাররা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১২৯ কোটি ৭৪ লাখ ৮৯৫ টাকা। ভুয়া অর্ডারের মাধ্যমে পাঁচটি কোম্পানির অ্যাকাউন্ট থেকে এসব অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়। বুধবার লাতিন আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ মেক্সিকোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

nonameকেন্দ্রীয় ব্যাংকের বক্তব্য থেকে হ্যাকাররা নগদে কী পরিমাণ অর্থ তুলতে পেরেছে সেটা পরিষ্কার নয়।

ব্যাংক অব মেক্সিকো’র গভর্নর আলেজান্দ্রো ডিয়াজ দে লিওন বলেন, কীভাবে এই সাইবার হামলা চালানো হয়েছে তা এখনও কর্তৃপক্ষের কাছে এক রহস্য।

তিনি বলেন, গত এপ্রিলের শেষ দিকে এই ঘটনা শনাক্ত হয়। ভুয়া অর্ডার দিতে হ্যাকাররা ব্যাংকগুলোর পেমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত হয়।

এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। তবে তিনি বলেছেন, তিনটি ব্যাংক, একটি ব্রোকার এবং একটি ক্রেডিট ইউনিয়নে এমন ঘটনা দেখা গেছে।

আলেজান্দ্রো ডিয়াজ দে লিওন বলেন, প্রাথমিভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ৩০০ মিলিয়ন পেসো’র (১৫ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ডলার) ‘নিয়মবহির্ভূত লেনদেনের’ ঘটনা ঘটেছে। তবে এই অর্থের পুরোটা উত্তোলন করা হয়নি। কিছু অংশ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব।

এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, শত শত জালিয়াতির পর দেশের প্রায় ডজনখানেক ব্যাংক থেকে নগদ অর্থ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাইবার হামলার উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এর আগে ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকেও বিপাকে পড়েছিল দেশটির ব্যাংক খাত।

এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাইবার হামলার তথ্য প্রকাশে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ব্যাংক অব মেক্সিকো’র গভর্নর আলেজান্দ্রো ডিয়াজ দে লিওন বলেন, এ ঘটনায় আমরা দুঃখিত। ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাপারে আমরা খুবই সজাগ রয়েছি। এ ব্যাপারে ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৬ সালে নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা। এটি ছিল ব্যাংকিং খাতে এ পর্যন্ত ঘটা সবচেয়ে বড় সাইবার হামলাগুলোর একটি। ওই হামলার পর হ্যাকাররা আগের চেয়ে আরও সুনিপুণ ও অত্যাধুনিক কৌশল ব্যবহার করে সাইবার হামলা অব্যাহত রাখে।