গাজায় এবার ইসরায়েলের বিমান হামলা

গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভরত ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়ে ৬০ জনকে হত্যার তিনদিনের মধ্যে আবারও ওই এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর ওই বিমান হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে দখলদার দেশটি। ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর দাবি তাদের স্দেরত শহরের একটি ভবন লক্ষ্য করে গাজা থেকে গুলি ছোঁড়া হলে বিমান হামলা চালানো হয়। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলায় এক ব্যক্তি মারাত্মক আহত হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে হামলার পর ট্রাকে করে ওই এলাকা ছেড়ে গেছে অনেকে।গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা। ফাইল ছবি
ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরায়েল নামের রাষ্ট্র। ১৯৭৬ সালের ৩০ মার্চ ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ইহুদি বসতি নির্মাণের প্রতিবাদ করায় ছয় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। পরের বছর থেকেই ৩০ মার্চ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত পরবর্তী ছয় সপ্তাহকে ভূমি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ফিলিস্তিনিরা। এবারের কর্মসূচির শেষ ২ দিনে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ জোরালো হয়ে উঠলে ৬০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। আহত হয় ২৭০০ মুক্তিকামী। নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

এই আহ্বান উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী দাবি করেছে, বৃহস্পতিবার গাজা শহর থেকে ইসরায়েলের সেদরুত শহরের একটি ভবন লক্ষ্য করে মেশিনগানের গুলি ছোঁড়া হয়। তাতে কেউ হতাহত হয়নি। ওই ঘটনার পর গাজা উপত্যকার একটি সামরিক ঘাঁটি ও অস্ত্র উৎপাদন স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম উন্মুক্ত কারাগার খ্যাত গাজা উপত্যকা বর্তমানে শাসন করছে ফিলিস্তিনি জাতিমুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। নির্বাচিত এই গ্রুপটি ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে ইসরায়েল। 

গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর গাজা শহরের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় উচ্চ শব্দের বিস্ফোরণে ভবনগুলো কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণের পর ওই অঞ্চল থেকে মানুষবাহী ট্রাক খালি রাস্তা দিয়ে ছুঁটে যেতে দেখা যায়। সে সময় বন্ধ ছিল সেখানকার বিদ্যুৎ সরবরাহ।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় এক ব্যক্তি মারাত্মক আহত হয়েছে।