রমজানে গাজাবাসীর জন্য রাফা সীমান্ত খোলা রাখছে মিসর

রমজান উপলক্ষে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা সংলগ্ন মিসরের রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি এই সীমান্ত খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

0cadeb2105618a1245e494e85cd39225-5a7afdaa545b0

এই সীমান্ত বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ থাকে। প্রতি ২-৩ মাস পর হয়তো কয়েকদিনের জন্য খুলে দেয় মিসর। বিগত কয়েক বছরে এবারই সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য সীমান্তটি খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিল মিসর। এক টুইট বার্তায় সিসি বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি যেন পবিত্র রমজান মাসজুড়ে এই সীমান্ত খোলা থাকে।

সোমাবার গাজা উপত্যকায় ভূমি দিবস উপলক্ষে আন্দোলনরত অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনিদের হত্যা করেছে ইসরায়েল বাহিনী। গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ হামাসের কাছে থাকলেও এর সীমান্ত তাদের দখলে নেই। রাফাহ সীমান্ত মিসরের দখলে ও এরেজ সীমান্ত ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কায়রোতে এক চুক্তির মধ্য দিয়ে এই সীমান্ত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছিল মিসর।

Rafah crossing Reuters

২০১৩ সালে সিনাই উপদ্বীপ অঞ্জলে মিসরীয় বাহিনীর ওপর হামলার পরই এই সীমান্ত বন্ধ করে দেয় মিসর। তাদের অভিযোগ, ফিলিস্তিনিরা এই হামলা চালিয়েছে। সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য ও মৌলিক সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল অনেক ফিলিস্তিনি। 

বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে গাজার মোট সাতটি সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি সীমান্তই ইসরায়েলের সঙ্গে। রাফাহ ক্রসিং নামের অন্য সীমান্তটি মিসরের সঙ্গে। ২০০৭ সাল থেকে গাজা উপত্যকার আকাশ, স্থল ও জলপথ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। চাপিয়ে দেয় সর্বাত্মক অবরোধ। এরপর থেকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগে রাফা ক্রসিং-ই গাজার একমাত্র সীমান্ত। ২০১৩ সালে মোহাম্মদ মুরসির ব্রাদারহুড সরকারকে উৎখাতের পর এই সীমান্তও বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে। 
ইকোনমিস্ট পত্রিকার ১৮ মে তারিখের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ১২৯ দিন সীমান্তটি খোলা ছিল। এই সীমান্ত গাজাবাসীর অস্তিত্বের প্রশ্নের সঙ্গে জড়িত। চিকিৎসা কিংবা খাদ্য আমদানির মতো বিষয়ও নির্ভরশীল এই সীমান্তের ওপর।