চীনের সঙ্গে ‘বাণিজ্য যুদ্ধ স্থগিত’ করছে যুক্তরাষ্ট্র

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়াচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। রবিবার মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভ নুচিন বলেন, চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। এখন পরস্পরের পণ্যের ওপর ট্যাক্স বসানো  থেকে বিরত থাকতে পারে দুই দেশই। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভ নুচিনপ্রতিবেদনে বলা হয়, এই বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতেই বিরুপ প্রভাব পড়তো। নুচিন বলেন, ‘আমরা বাণিজ্য যুদ্ধ থামিয়ে দিচ্ছি। আমরা বাড়তি ট্যাক্স স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে দুইদিন ধরে এই বিষযে আলোচনা করেন নুচিন ও চীনের ভাইস প্রিমিয়ার লিউ হি। নুচিন বলেন, চীনা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন তারা। এতে করে চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক বিবাদ মিটে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের। তবে চীনের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট করে ট্যাক্স কমানোর কোনও আশ্বাস এখনও দেওয়া হয়নি।

এক বিবৃতিতে দুই পক্ষ জানায় চীনের সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্য ঘটাতি মেটাতে পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। বলা হয়, ‘চীনা নাগরিকের বর্ধনশীল চাহিদা মেটাতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চীন তাদের সেবা ও পণ্য বাড়াবে।’

চীনা রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়া জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পরস্পরের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি দূর করা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি ছিল। বিবৃতিতে বলা হয়, আরও বেশি আমেরিকান পণ্য আমদানির জন্য চীন পেটেন্ট আইনসহ আরও কিছু আইনের ধারার প্রাসঙ্গিক সংশোধনী আনবে।

গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দেশে ইস্পাত আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ১০ শতাংশ কর আরোপের পরিকল্পনার কথা জানান। শিগগিরই তা কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি। আমদানি শুল্ক আরোপকে কেন্দ্র করে বিশ্বের দুই বৃহত্তর অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় এশিয়ার শেয়ার বাজারে পতন দেখা দেয়।