গাজায় ফিলিস্তিনি নৌকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা

গাজায় নোঙর করে রাখা একটি নৌকা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। বুধবার সকালে এ হামলা চালিয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তবে হামলায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ফিলিস্তিনি জাতিমুক্তি আন্দোলনের সংগঠন হামাসের নৌ বাহিনীর একটি একটি সামরিক লক্ষ্যে বিমান হামলা চালিয়েছে।

israeli-air-strikes-target-boat-moored-in-gaza-residents

ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরায়েল নামের রাষ্ট্র। ১৯৭৬ সালের ৩০ মার্চ ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ইহুদি বসতি নির্মাণের প্রতিবাদ করায় ছয় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। পরের বছর থেকেই ৩০ মার্চ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত পরবর্তী ছয় সপ্তাহকে ভূমি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ফিলিস্তিনিরা। এবারের কর্মসূচির শেষ ২ দিনে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ জোরালো হয়ে উঠলে ৬০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। আহত হয় ২৭০০ মুক্তিকামী। নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

মঙ্গলবার ইসরায়েলি বাহিনী এক জানিয়েছিল, গাজা থেকে একদল লোক সীমান্ত বেড়া অতিক্রম করে একটি সামরিক তল্লাশি চৌকিতে আগুন দেয়। পরে ইসরায়েলি বাহিনী ট্যাংকের সাহায্যে হামাসের নজরদারি চৌকি গুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায়ও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

গাজার বাসিন্দারা বলেন, বুধবারের বিমান হামলার পর নৌকাটিতে আগুন ধরে যায়। তারা জানান, নৌকাটি একটি নৌবহরের সঙ্গে গাজায় পৌঁছানোর জন্য সেখানে রাখা হয়েছিল। ইসরায়েল গাজার ওপর নৌ-অবরোধও আরোপ করে রেখেছে। তারা সেখানে অন্যকোনও নৌকাকেও যেতে বাধা দিয়ে আসছে।

২০০৭ সাল থেকে গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এক সময়ের ফিলিস্তিনি সশস্ত্র মুক্তি আন্দোলনের সংগঠন হামাস। এরপর থেকেই নিরাপত্তার অজুহাতে উপত্যকাটির ওপর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে মিসর ও ইসরায়েল। এই অবরোধের মুখে গাজার অর্থনীতি ধসে পড়ে। উপত্যকাটি পরিণত হয় পৃথিবীর বৃহ্ত্তম উন্মুক্ত কারাগারে। সরু উপত্যকাটিতে ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস করেন যাদের বেশিরভাগেই ফিলিস্তিনের বিভিন্ন স্থান থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে বিতাড়িত হয়ে আসা শরণার্থী। সূত্র: রয়টার্স।