টেক্সাসের বন্দুকবাজির বলি সাবিকার জানাজায় করাচিতে মানুষের ঢল

কয়েক সপ্তাহ পরেই ঈদের সময় যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজ দেশে ফেরার কথা ছিল সাবিকার। অথচ তার আগেই টেক্সাসের বন্দুকবাজির বলি হয়ে তাকে ফিরতে হলো কফিন বন্দি হয়ে। বুধবার করাচিতে তার জানাজায় সিনিয়র রাজনীতিবিদ ছাড়াও অংশ নিয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। সাবিকার বাবা চেয়েছেন মেয়ের মৃত্যুর বিনিময়ে হলেও যেন পরিবর্তন করা হয় মার্কিন বন্দুক আইন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।noname
৯/১১ হামলার পর মুসলিম দেশের নাগরিকদের ‘মার্কিন মূল্যবোধ’ শেখাতে শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচি শুরু করে ইসলামফোবিক যুক্তরাষ্ট্র। বিনিময়ের নামে একপাক্ষিকভাবে মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়ে মার্কিন পরিবারের সঙ্গে রেখে সেখানকার স্কুলে এক বছর পড়ানো শুরু হয়। সেই সুযোগ নিয়েই টেক্সাসে শিক্ষা নিতে গিয়েছিলেন পাকিস্তানি শিক্ষার্থী সাবিকা শেখ। গত ১৮ মে টেক্সাসের সান্তা ফে স্কুলে ঢুকে এক বন্দুকধারী গুলি শুরু করলে আট শিক্ষার্থী ও দুই শিক্ষকের সঙ্গে নিহত হন সাবিকা।

বুধবার ভোরে কফিনবন্দি করে তার মরদেহ পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনা হয়। ইসলামাবাদ থেকে অন্য একটি ফ্লাইটে করে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় করাচিতে। সেখানে তার জানাজায় অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ। ছিলেন সিনিয়র রাজনীতিবিদরাও।

টেক্সাসের বন্দুকবাজির বলি পাকিস্তানি শিক্ষার্থী সাবিকা শেখ

সাবিকার বাবা আবদুল আজিজ জানান ঈদ উপলক্ষ্যে কয়েক দিনের মধ্যেই দেশে ফেরার কথা ছিল তার মেয়ের। তবে তার আগেই সে টেক্সাসের বন্দুকবাজির বলি হয়ে ফিরেছে কফিনবন্দি হয়ে।

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে সোচ্চার ক্ষমতাশালী অস্ত্র-লবির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বন্দুক রাখতে তেমন কোনও বেগ পেতে হয় না। আর এমন বৈধ অস্ত্রের অপপ্রয়োগেই সেখানে ধারাবাহিকভাবে রক্তপাতের ঘটনা ঘটে। স্কুলে বন্দুক হামলা যেন সেখানকার সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। টেক্সাসের সবশেষ এই ঘটনা চলতি বছরের স্কুলে ২২তম বন্দুক হামলার ঘটনা।

সাবিকার বাবা বলেন, তিনি চান যেন তার মেয়ের জীবেনর বিনিময়ে হলেও যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুক আইনের সংস্কার করা হয়।