লিবিয়ার বেনগাজি শহরে গাড়িবোমা হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
তবে এখনও হামলার বিস্তারিত জানা যায়নি। হামলায় পার্কিংয়ের থাকা আটটি গাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।
লিবিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরটি লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির দখলে রয়েছে। কমান্ডার খলিফা হাফতারের নেতৃত্বে এই বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চল দখল করে রেখেছে। আইএস ও আল-কায়েদাসহ অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াই করছে এলএনএ।
চলতি বছরের শুরুতেও বেনগাজিতের এক গাড়িবোমা হামলায় ২৭ জন নিহত হয়েছিলেন।
২০১১ সালে আরব-বসন্তের জোয়ারে লিবিয়ায় শাসকবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। সে সময় সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় বেসামরিক ব্যক্তিদের রক্ষার নামে দেশটিতে হামলা চালায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট। তবে লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে হত্যার পর দেশটি এক বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়ে। বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপ নিজেদের সরকার ও পার্লামেন্ট গঠন করে। আর একে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে লিপ্ত হয় তারা। বিশৃঙ্খলার সুযোগে কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) লিবিয়ায় ঘাঁটি গাড়ার সুযোগ পায়। সেই সঙ্গে তা হয়ে ওঠে শরণার্থীদের ইউরোপে যাওয়ার পথ। তারপর সেখানে জাতিসংঘ সমর্থিত ঐকমত্যের সরকার গঠন করা হয়।