মিয়ানমার থেকে সুপারি আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত!

মিয়ানমার থেকে অবৈধ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুপারি আমদানি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে ভারত। অবৈধ বাণিজ্যের রাশ টেনে ধরতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের কালয়-তামু ট্রেড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ইউ খিন মং টিন্ট।

nonameতিনি বলেন, গত সোমবার থেকে রিখোয়াদর শহরে মিয়ানমার-ভারত বর্ডার ব্রিজে যান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে ভারতের সামরিক বাহিনী। তবে এই নিষেধাজ্ঞার পেছনে কোনও কারণ দেখানো হয়নি। তবে অবৈধভাবে সুপারি বাণিজ্য ঠেকাতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপ নিয়ে থাকতে পারে।

তামু ও রিড বর্ডার ট্রেড স্টেশন দিয়ে প্রতিবছর মিয়ানমার থেকে ভারতে প্রচুর পরিমাণ সুপারি রফতানি হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৪০ হাজার টন। অথচ ২০১৩-১৪ সালে রফতানি হয়েছিল মাত্র সাড়ে ১৬ হাজার টন।

কালয়-তামু ট্রেড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, রফতানি হওয়া সুপারির শতভাগ অবশ্য বার্মিজ নয়। কারণ থাইল্যান্ড সীমান্ত হয়ে অনেক ইন্দোনেশীয় সুপারি মিয়ানমারে প্রবেশ করেছে।

ইউ খিন মং টিন্ট বলেন, প্রকৃতপক্ষে মিয়ানমারে বছরে ১০ হাজার টন সুপারি উৎপাদিত হয়। রফতানিকৃত বাড়তি সুপরি অবৈধভাবে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা।

তিনি বলেন, ‘ভারতে আমরা ৪০ হাজার টনেরও বেশি সুপারি রফতানি করছি। এরমধ্যে ৩০ হাজার টনের বেশি ইন্দোনেশিয়া থেকে অবৈধভাবে আসা।

ইউ খিন মং টিন্টের অভিযোগ, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ইন্দোনেশিয়া থেকে সুপারি কিনে তা মিয়ানমারের ভেতর দিয়ে পরিবহন করেন। এক্ষেত্রে তারা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে থাকেন। মিয়ানমারকে অবশ্যই এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সব ধরনের আমদানির ওপর ১৭ শতাংশ এবং রফতানির ওপর ২ শতাংশ কর আরোপের প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে ব্যবসায়ীরা এই কর পরিশোধ করছেন না। সরকার এ ব্যাপারে তদন্ত করছে। সূত্র: মিয়ানমার টাইমস।