শিগগিরই কাতার সংকট নিরসনের আশা দেখছে না বাহরাইন

সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধ প্রায় এক বছরের মাথায় এসে পড়লেও এখনও সংকট নিরসনে কোনও আশার আলো পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ২০১৭ সালের ৫ জুন কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে দেশটির ওপর সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০১৮ সালের ২৬ মে দোহার পক্ষ থেকেও অবরোধকারী চার দেশের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে রবিবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ খালিদ বিন আহমেদ আল খলিফা। সংবাদমাধ্যম আলশার্ক আলআওসাত’কে তিনি বলেছেন, হুট করেই এ সংকট নিরসন হয়ে যাবে- এখনও পর্যন্ত এমন আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু নেই।

বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাতার আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর বাইরে গিয়ে ইস্যুটি তার পশ্চিমা মিত্রদের কাছে তুলে ধরেছে। এভাবে তারা সংকট দীর্ঘায়িত করেছে।

শেখ খালিদ বিন আহমেদ আল খলিফা বলেন, সংকটের শুরু থেকেই আমাদের প্রত্যাশা ছিল, কাতারের আমির সৌদি আরবের শরণাপন্ন হবেন। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা ঘটেনি।

গত বছর সৌদি জোটের ওই অবরোধের ঘটনায় খাবার আমদানিতে তুরস্ক ও ইরানমুখী হয় কাতার। এর আগ পর্যন্ত দেশটিতে খাদ্য সামগ্রীর প্রধান সরবরাহকারী দেশ ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব। কিন্তু দেশগুলোর পক্ষ থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করার ফলে যে কোনও ধরনের খাদ্য ঘাটতির ঝুঁকি মোকাবিলায় খাবার আমদানির এ নতুন বাজারের দিকে মনোযোগী হয় দোহা।

কাতারের অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে খাবারের পর্যাপ্ত যোগান রয়েছে। দামও স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। তাই এসব নিয়ে কাতারিদের উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। খাদ্যদ্রব্য ছাড়াও বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভোগ্যপণ্য রয়েছে। সরকার এটা নিশ্চিত করছে যে, বিদ্যমান কূটনৈতিক সমস্যায় নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সরবরাহে কোনও ব্যাঘাত ঘটবে না।

চলমান উত্তেজনার মধ্যেই দোহার পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। আঙ্কারায় দেওয়া এক ভাষণে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কাতারের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তাকে আমরা ভালো বলে মনে করি না। কাতারের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক বজায় থাকবে এবং ভবিষ্যতে সে সম্পর্ক আরও ভালো হবে। আমাদের কঠিনতম সময়ে পাশে থাকা সব বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় থাকবে।’

গত আগস্টে তুর্কি অর্থমন্ত্রী নিহাদ জিবেকজি মন্তব্য করেন, কাতারের চাহিদা পূরণে তুরস্কই যথেষ্ট। এছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকেও অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের মধ্যে উত্তেজনা ইরানকেই বরং আরও শক্তিশালী করবে। সূত্র: মিডল ইস্ট আই।