পূর্বনির্ধারিত সময়েই কিমের সঙ্গে বৈঠক : ট্রাম্প

পূর্বনির্ধারিত সময়েই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা ১২ জুন সিঙ্গাপুরে বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করছি। তারিখ ও স্থান পরিবর্তন হয়নি। এই বৈঠক নিয়ে অনেকে কাজ করছেন। সম্মেলনের প্রস্তুতি খুব সুন্দরভাবে অগ্রসর হচ্ছে।’ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিম জং উনট্রাম্প বলেন, যথাসময়ে বৈঠক অনুষ্ঠানে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বেশ ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনা হয়েছে। ১২ জুন কিংবা প্রয়োজনে এরপরও বৈঠক হতে পারে।

এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তার অবসান ঘটলো।

এদিকে দুই নেতার সম্ভাব্য বৈঠকের প্রস্তুতি নিতে শিগগিরই সিঙ্গাপুর যাচ্ছে হোয়াইট হাউসের একটি প্রতিনিধি দল। এ সপ্তাহের শেষের দিকে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার তা রয়েছে তাদের।

পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে বৃহস্পতিবার (২৪ মে) উনের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। কিমের কাছে লেখা চিঠিতে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনার সঙ্গে বৈঠকের জন্য আমি খুবই উন্মুখ ছিলাম। দুঃখজনকভাবে, ভয়ানক ক্ষোভ এবং প্রকাশ্য শত্রুতার ওপর ভিত্তি করে দেওয়া আপনার অতি সাম্প্রতিক বিবৃতির প্রেক্ষিতে আমি মনে করি এটি বৈঠকের যথার্থ সময় নয়।’ ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে উত্তর কোরিয়াসহ আন্তর্জাতিক বিশ্ব হতাশা প্রকাশ করে। এরপর শুক্রবার (২৫ মে) ট্রাম্প ১২ জুন সিঙ্গাপুরে কিমের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে বলে নতুন করে ইঙ্গিত দেন। শনিবার সংবাদ সম্মেলনেও এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

শনিবার (২৬ মে) হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জানান, বৈঠক আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে একটি প্রতিনিধি দল সিঙ্গাপুর যাবে। এর আগে মার্কিন সাময়িকী পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউস এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ৩০ জন কর্মকর্তা এ সপ্তাহের শেষের দিকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল এক ঐতিহাসিক বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাখতে সম্মত হন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসেডন্ট মুন জায়ে ইন। পরদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি। এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইয়োন ইয়াং চ্যান জানান, মে মাসে পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্র বন্ধ করে দেবে উত্তর কোরিয়া। পুঙ্গেইরি পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার সাক্ষী রাখার জন্য বেশ কয়েকটি দেশ থেকে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানায় পিয়ংইয়ং। ২৪ মে সাংবাদিকদের সামনে পরমাণু কেন্দ্রটি ধ্বংসের দাবি করে উত্তর কোরিয়া।