মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি ইরানের

ইরানি জনগণের মধ্যে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি জোরালো করার মাধ্যমে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। ইরানি পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক কমিশনের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বোরুজেরদি সে দেশের বার্তা সংস্থা ইরনাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই হুঁশিয়ারি দেন।


আলাউদ্দিন বোরুজেরদি২০১৫ সালের জুনে তেহরানের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে ৬ জাতিগোষ্ঠী চুক্তি স্বাক্ষর করে। ভিয়েনায় নিরাপত্তা পরিষদের ৫ সদস্য রাষ্ট্র (পি-ফাইভ) যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও জার্মানি (ওয়ান) চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার প্রতিশ্রুতি দেয়। পূর্বসূরি ওবামা আমলে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিকে ‘ক্ষয়িষ্ণু ও পচনশীল’ আখ্যা দিয়ে গত ৮ মে তা থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হুমকি দেন নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের।

পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক পার্লামেন্টারি  কমিশনের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বোরুজেরদি বলেছেন, 'জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সংহতিই ইরানে ইসলামি বিপ্লব সফল করে তুলেছিল । এরপর গত চার দশকে আমেরিকার পক্ষ থেকে যত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তার সবগুলো একই উপায়ে ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে। এখন মার্কিন সরকার নতুন করে যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপের ষড়যন্ত্র আঁটছে সেগুলিও ব্যর্থ করে দেয়া সম্ভব হবে।'

noname

ট্রাম্প চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিলেও নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা নিশ্চিত করেছে তিন ইউরোপীয় দেশ ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী বাকি দুই দেশ রাশিয়া এবং চীনও রয়েছে একই অবস্থানে।  ইউরোপের সঙ্গে ইরানের আলোচনার প্রসঙ্গে পার্লামেন্টের সিনিয়র সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন বোরুজেরদি বলেন, সর্বোচ্চ নেতার দেওয়া শর্তের ভিত্তিতেই এ আলোচনা হতে হবে।

ইউরোপীয় দেশগুলো চুক্তি বহাল রেখে ইরানকে নিষেধাজ্ঞা-বহির্ভূত বাস্তবতায় আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করার পক্ষে। তবে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর একটা বড় অংশের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ব্যপ্তি অনেক বিস্তৃত হওয়ায় ইউরোপের বাণিজ্যিক আদান প্রদানেও এর প্রভাব পড়বে। তাদের পক্ষেও তেহরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে ওই কোম্পানিগুলো।