বৈঠক শেষে হোটেল ত্যাগ ট্রাম্প ও কিমের

সিঙ্গাপুরের সেন্তাসো দ্বীপে ঐতিহাসিক এক বৈঠক শেষে ক্যাপেলা হোটেল ত্যাগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

825bea29-8649-4649-8697-a42a41dc1e4a

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প সিঙ্গাপুর ত্যাগ করবেন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা)। তবে কিমের সময়সূচি নিয়ে কিছু বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। বৈঠক ও চুক্তি নিয়ে  বিস্তারিত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনেও থাকছেন না কিম। ট্রাম্প একাই থাকবেন ওই সংবাদ সম্মেলনে।

১২ জুন, মঙ্গলবার সকালে কিমের সঙ্গে ৩৫ মিনিটের একান্ত বৈঠক শেষে ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছে তার দেশ। ঐতিহাসিক বৈঠকের সাফল্য ও উন্নতিকে ধরে রাখতেই দুই নেতা এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন বলে জানান একজন মার্কিন কর্মকর্তাও। সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টে আগে তিনি এই চুক্তির বিস্তারিত কিছু বলতে চাচ্ছেন না। কিছুক্ষণ বাদে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের সামনে আবারও হাজির হন ট্রাম্প। বলেন, ‘আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতায় স্বাক্ষর করেছি। এর মধ্যে বিস্তারিত অনেক কিছুই আছে।’ ট্রাম্প জানিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে।

সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপে ক্যাপেলে হোটেলে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা) একান্ত বৈঠকে বসেন দুই নেতা। সকালে বৈঠকের শুরুতে দুই দেশের পতাকার সামনে দাঁড়িয়ে হাত মেলান ট্রাম্প-কিম। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, ১২ সেকেন্ড ধরে হ্যান্ডশেক করেন তারা। কিমই প্রথম এসে ট্রাম্পের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। বৈঠক শেষে ট্রাম্প বলেন, দারুণ বৈঠক হয়েছে। দুর্দান্ত সম্পর্কের সূচনা ঘটতে যাচ্ছে। দিনের শুরুতে এমন চুক্তি স্বাক্ষরের কোনও পরিকল্পনা ছিল না। তবে মধ্যাহ্নভোজের আগে একটি দীর্ঘসময় বিরতির উল্লেখ ছিল। দুপুরের দিকেই হঠাৎ করে চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
বৈঠক শুরুর আগে থেকেই ট্রাম্প বলেছিলেন,এটা দুর্দান্ত বৈঠক হবে। আর কিম বলেন, ‘এমন অবস্থায় আসা সহজ ছিলো না।’ সাংবাদিকদের তিনি বলেন, শান্তি জন্য বড় এক ঘটনা ছিল আজকের দিনটি। দুই নেতার একান্ত বৈঠকের পর এখন দ্বিতীয় পর্বের বৈঠকে তাদের সঙ্গে মিলিত হন দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।