ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে সতর্ক করে বলেছেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করলে আবারও তেহরানে হামলা করার কথা বিবেচনা করতে পারেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) হোয়াইট হাউজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, ভবিষ্যতে কখনও প্রয়োজনবোধ করলে ইরানে আবারও বোমা হামলা করা হবে কিনা।
জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি আবারও হামলার সম্ভাবনা বাতিল করে দেননি। (প্রয়োজন হলে) কোনও প্রশ্ন ব্যতিরেকে অবশ্যই (সেটা করা হবে)।
তিনি আরও বলেন, বিগত কয়েকদিন ইরানের দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে কাজ করছিলেন তিনি। তবে তিনি সেই উদ্যোগ বাতিল করে দিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, আমার বিরুদ্ধে ক্ষোভ, ঘৃণা ও বিতৃষ্ণার তীব্র বাক্যবাণ নিক্ষেপ করা হয়েছে। তৎক্ষণাৎ আমি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সব কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
ইসরায়েল ও ইরানের কথিত ১২ দিনের যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর খামেনির বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প। ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে হামলার জবাবে কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় তেহরান। এই ঘটনাকে ‘আমেরিকার গালে চপেটাঘাত’ বলে খামেনি উল্লেখ করায় চটে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তিনি উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, আমি খামেনির জীবন রক্ষা করেছি।
তিনি দাবি করেন, খামেনির দেশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। তার পারমাণবিক স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর আমি ঠিকই জানতাম, সে কোথায় আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু আমি ইসরায়েল বা মার্কিন বাহিনীকে তার ওপর হামলা করতে দিইনি। অত্যন্ত কুৎসিত ও যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুর হাত থেকে আমি তাকে রক্ষা করেছি।
তার দাবির সত্যতা যাচাই করতে পেরেছে রয়টার্স। চলতি মাসের ১৫ তারিখ হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনায় ভেটো দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, ইরানের দিক থেকে সতর্ক করে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার পূর্বশর্ত হচ্ছে তাদের সর্বোচ্চ নেতার প্রতি অসম্মানজনক সুরে কথা বলা বন্ধ করা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, ইরানের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি আসলেও আন্তরিক হয়ে থাকেন, তার উচিত ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির বিরুদ্ধে অগ্রহণযোগ্য সুরে কথা বলা বন্ধ করে তার লাখ লাখ অনুসারীর মনে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা।