গাজা উপত্যকায় ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন মরক্কোর

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মঙ্গলবার একটি ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করেছে আফ্রিকার দেশ মরক্কো। এর আগে গত শুক্রবার মরক্কো থেকে মেডিক্যাল টিম এবং চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। ফিলিস্তিন-মিসর সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং হয়ে এসব সামগ্রী পাঠানো হয়। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।

nonameহাসপাতাল চালু উপলক্ষ্যে ১৬৫ সদস্যের একটি দল ফিলিস্তিন সফর করে। সফরকারী দলটিতে মিসরে নিযুক্ত মরক্কোর রাষ্ট্রদূত আহমেদ তাজি, চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ানরা ছিলেন। হামাস নেতা গাজী হামাদ এবং গাজা উপত্যকার নিরাপত্তা বাহিনী প্রধান তাওফিক আবু নাঈম তাদের স্বাগত জানান।

এক সংবাদ সম্মেলনে মরক্কোর রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ প্রথমে ১৭টি বিমানে করে মিসরে এসব সামগ্রী পাঠিয়েছে। গাজা উপত্যকায় আহতদের চিকিৎসার্থে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন,  মরক্কোর সহায়তা বহরে খাবার ও ঔষধ সামগ্রী এবং একটি বিশেষায়িত সামরিক হাসপাতাল রয়েছে। কার্যক্রম পরিচালনায় হাসপাতালটিতে চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিক্যাল স্টাফরা রয়েছেন।

গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবের শিকার ফিলিস্তিনিদের সাহায্যার্থে এ হাসপাতাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মরক্কো।

দুনিয়ার বৃহত্তম উন্মুক্ত কারাগার গাজা উপত্যকায় শুধু গত মে মাসেই ৩১৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের ৬৫ শতাংশই পুরুষ।

ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরায়েল নামের রাষ্ট্র। ১৯৭৬ সালের ৩০ মার্চ ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ইহুদি বসতি নির্মাণের প্রতিবাদ করায় ছয় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। পরের বছর থেকেই ৩০ মার্চ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত পরবর্তী ছয় সপ্তাহকে ভূমি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ফিলিস্তিনিরা।

গ্রেট রিটার্ন মার্চ নামে অনুষ্ঠিত এবারের সেই বিক্ষোভ কর্মসূচির শেষ দিনের আগে (১৪ মে) জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ জোরালো হয়ে উঠলে একদিনেই ৬৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গাজা উপত্যকায় গত মার্চের শেষ দিক থেকে তিন মাসেরও কম সময়ে ইসরায়েলি হামলায় হতাহতের সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে।