সন্ত্রাসবাদের দায়ে বাংলাদেশে আসতে চাওয়া অস্ট্রেলীয় যুবক গ্রেফতার

সন্ত্রাসবাদের দায়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। নওরোজ রাইদ আমিন নামের ২৬ বছরের ওই ব্যক্তি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। পুলিশের সন্ত্রাসবাদবিরোধী ইউনিটের তদন্তের ভিত্তিতে ১৬ জুন শনিবার সিডনির ইঙ্গেলবার্ন এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, চরমপন্থী মতাদর্শ সমর্থনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে তিনি বাংলাদেশ সফরের চেষ্টা করছিলেন। বিবিসি’র প্রতিবেদনে তাকে বাংলাদেশি-বংশোদ্ভূত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

Australian Federal Policeক্যানবেরা’র বাংলাদেশ হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউন’কে জানান, ‘আমাদের কাছে এখনও এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য নেই। এমনকি আমরা এটাও জানি না যে, সে বাংলাদেশি নাগরিক কিনা।’

এই কর্মকর্তা বলেন, “আজ রবিবার। এখানে বন্ধের দিন। আগামীকাল আমরা তার বিষয়ে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করবো। সে যদি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হয়; তাহলে আমাদের এখানে কোনও করণীয় নেই। আমরা শুধু তার 'বাংলাদেশ ভ্রমণ' ইস্যুতে মনোনিবেশ করতে পারি। আমরা জানতে চাই যে, সে বাংলাদেশে কার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল?”

অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ তার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে। এর মধ্যে বিদেশি রাষ্ট্রের সীমানায় গিয়ে বৈরী কাজে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগও রয়েছে। তবে নওরোজ আমিন ঠিক কোন দেশে এই সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্র করছিলেন, তা জানা যায়নি।

২০১৬ সালে বাংলাদেশ সফরের চেষ্টার সময় অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ নওরোজ রাইদ আমিনকে আটকে দেয়। তার লাগেজে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহজনক জিনিসপত্র পাওয়া যায় বলে তখন পুলিশ অভিযোগ করেছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, যেসব জিনিসপত্র তার লাগেজে পাওয়া গিয়েছিল তাতে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, সন্ত্রাসবাদের প্রতি তার সমর্থন ছিল। পুলিশ বলছে, ‘নওরোজ আমিন বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন এমন সব লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে, যারা তার মতো একই ধরণের আদর্শে বিশ্বাসী। এরপর তারা অস্ট্রেলিয়ার বাইরে সম্ভবত একটি সন্ত্রাসী হামলা চালানোর কথা ভাবছিল।’

নওরোজ আমিন সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য জানা যায়নি। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানিয়েছে, তিনি অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। সেখানকার ইঙ্গেলবার্নে বসবাস করেন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরের চেষ্টা করেছিলেন।

অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড অবশ্য পুলিশ কিংবা অন্য কোনও সূত্রে নওরোজ আমিনের পূর্ব জাতীয়তা প্রকাশ করেনি। সূত্র: বিবিসি, দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড।