বিশ্বে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ৬ কোটি ৮৫ লাখ: জাতিসংঘ

দুনিয়াজুড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৬ কোটি ৮৫ লাখে দাঁড়িয়েছে। ২০১৭ সালের শেষ নাগাদ বেড়ে দাঁড়ানো এ সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ২৯ লাখ বেশি। যুদ্ধ, সহিংসতা ও নিপীড়নের কারণে দুনিয়ার নানা প্রান্তের ভাগ্যবিড়ম্বিত এ মানুষেরা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এমনটাই উঠে এসেছে মঙ্গলবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)-এর এক প্রতিবেদনে।

মিয়ানমারে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন প্রায় সাত লাখ মানুষপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে টানা পঞ্চমবারের মতো পৃথিবীতে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। এই মানুষদের প্রায় ৭০ শতাংশই ১০টি দেশ থেকে এসেছে। এ দেশগুলোর মধ্যে সিরিয়া, আফগানিস্তান, সাউথ সুদান, মিয়ানমার ও সোমালিয়ার নাম উল্লেখযোগ্য। আর বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা থাইল্যান্ডের জনসংখ্যার সমান। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বয়স ১৮ বছরের নিচে।

আজ থেকে ১০ বছর আগে বিশ্বে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় চার কোটি ২৭ লাখ। এই এক দশকে এমন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেন, বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হওয়া মানুষদের সফল ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নজর দিতে হবে। বিষয়টিকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। যে ১০টি দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন তাদের উল্লেখযোগ্যগুলো সংকটগুলোর সমাধান করতে পারলে বিশ্বজুড়ে এমন ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষের সংখ্যা কমবে।

বাস্তুচ্যুত মানুষ বা শরণার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশ তুরস্কে। দেশটিতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীর সংখ্যা ৩৫ লাখ, পাকিস্তান ও উগান্ডায় শরণার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ করে। মিয়ানমারে গতবছর রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সরকার ও উগ্রপন্থী বৌদ্ধদের জাতিগত নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতায় বাংলাদেশে শরণার্থীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ লাখ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননে শরণার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, দ্য গার্ডিয়ান।