হামলার আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকি পেয়েছিল ক্যাপিটাল গেজেট

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে আগেই বেশ কয়েকবার হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের স্থানীয় সংবাদপত্র ক্যাপিটাল গেজেটকে। এমনকি বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) হামলা হওয়ার আগেও কয়েকবার হুমকি পেয়েছে সংবাদপত্রটির কর্তৃপক্ষ। অ্যান অরুন্ডেল কাউন্টি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান উইলিয়াম ক্রাম্ফকে উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন খবরটি জানিয়েছে। তবে কে বা কারা এ হুমকি দিয়েছে সে ব্যাপারে জানা যায়নি।

ক্যাপিটাল গেজেট (প্রতীকী ছবি)
মেরিল্যান্ডের দ্য বাল্টিমোর সান মিডিয়া গ্রুপের মালিকানাধীন পত্রিকা ক্যাপিটাল গেজেট। ক্যাপিটাল গেজেট কমিউনিকেশনস'র প্রকাশনায় প্রকাশ হওয়া দৈনিকটির একটি ডিজিটাল ওয়েবসাইটও রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) সংবাদপত্রটির কার্যালয়ে বন্দুকধারীর হামলা হয়। এ ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়।

অ্যান অরুন্ডেল কাউন্টি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান উইলিয়াম ক্রাম্ফ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্যাপিটাল গেজেটকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। কে বা কারা হুমকি দিয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। কিছু হুমকি আজ এসেছে। সহিংসতার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।’

এদিকে ক্যাপিটাল গেজেট সংবাদপত্র ভবনে হামলার ঘটনায় এক সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তার নাম ওয়ারেন রামোস। যুক্তরাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রকে উদ্ধৃত করে সিএনএনএন জানিয়েছে, সন্দেহভাজন রামোসের সঙ্গে সংবাদপত্রটির সংযোগ ছিল। ২০‌১২ সালে সে সংবাদপত্রটির বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ তুলেছিল, কিন্তু মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।

বন্দুক হামলার সময়ে সেখানে থাকা পত্রিকাটির অপরাধ বিষয়ক রিপোর্টার ফিল ডেভিস বলেছেন, বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। টুইটারে ডেভিস লিখেছেন, কাঁচের দরজার ভিতর দিয়ে বন্দুকধারী বেশ কয়েকজন কর্মীর ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। মেরিল্যান্ডের কাউন্টি এক্সিকিউটিভের দাবি,হামলার খবর পাওয়ার ৬০ সেকেন্ডের মাথায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেসময় একটি ডেস্কের নিচে লুকিয়ে ছিল সন্দেহভাজন হামলাকারী। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে হামলাকারীর কোনও ধরনের বন্দুকযুদ্ধ হয়নি।

মেরিল্যান্ডের গভর্নর ল্যারি হগান টুইটারে বলেছেন, এই ঘটনায় তিনি সতিকারভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলেও জানিয়েছেন।