লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে শতাধিক অভিবাসীর প্রাণহানির শঙ্কা

লিবিয়া উপকূলে অভিবাসী ও শরণার্থীবাহী একটি নৌকাডুবিতে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কার কথা জানিয়েছে সেদেশের কোস্টগার্ড। অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য বিভিন্ন দেশে আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে তুলতে ইউরোপীয় নেতাদের সমঝোতার দিনেই নতুন করে নৌকাডুবির খবর প্রকাশ পেলো। শুক্রবার নৌকাডুববিতে এই প্রাণহানির খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। এসব অভিবাসীরা কোন দেশের নাগরিক সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।অভিবাসী বোঝাই নৌকাডুবির ফাইল ছবি
দুর্বল কেন্দ্রীয় সরকার আর ইতালির সঙ্গে সীমান্ত থাকার সুযোগে বিপদজনকভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউইউরোপে প্রবেশ করতে এই উপকূল ব্যবহার করতে পছন্দ করে শরণার্থী ও অবৈধি অভিবাসন প্রার্থীরা। গত বছর এই পথ পাড়ি দিয়ে ইতালি ও অন্য ইউরোপীয় দেশগুলোতে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার শরণার্থী পৌঁছেছে। এই পথ ব্যবহার করতে গিয়ে চলতি বছরের জুনের প্রথম দিকে তিউনিশিয়া উপকূলে নৌকাডুবে নিহত হয় প্রায় ১১২ শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশী। ফেব্রুয়ারিতে লিবিয়ার পশ্চিম উপকূলে নৌকাডুবে প্রায় ৯০ জন নিহত হয়।

ভূমধ্যসাগরকে এরইমধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সীমান্ত আখ্যা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন। সংস্থাটির হিসেবে গত বছর এই পথ দিয়ে উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যেতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে ৩ হাজার ১১৬ জন।

দীর্ঘ সময় বিতর্ক শেষে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে এক বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের ঐক্যমত্যের খবরের মধ্যেই লিবিয়া উপকূলে এই প্রাণ হারানোর খবর পাওয়া গেল। প্রায় ১০ ঘণ্টা আলোচনা শেষে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন তারা। তবে ইইউ এর উদ্যোগের সমালোচনা করেছে শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার গ্রুপ ডক্টরস উইদাউট বর্ডার। তার বলছে, এই সমঝোতার লক্ষ্য হলো শরণার্থীদের ইউরোপের দোরগোড়ায় আটকে দেওয়া।