ফ্রান্সে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারালো নিরস্ত্র তরুণ, রাজপথে বিক্ষোভ

ফ্রান্সে তল্লাশির সময় এক তরুণকে গুলি করে হত্যা করায় পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছে স্থানীয়রা। সেখানকার একদল তরুণ হামলা চালিয়েছে পুলিশের ওপর। পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে পুড়ে গেছে অনেক গাড়ি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শপিং সেন্টার, লাইব্রেরিসহ বেশ কয়েকটি ভবন। বুধবার সকালে দেশটির নান্তে শহরে এই ঘটনা ঘটে।

6071 (1)

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, বিক্ষুব্ধ তরুণরা পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করেছে। শপিং সেন্টারে আগুন ধরিয়ে দেয়। লাইব্রেরিসহ বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ।  

শহরের মেয়র জোহানা রোল্যান্ড বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি মাথায় রেখে যেন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয়। স্থানীয় পুলিশ প্রধান জন ক্রিস্টেফ বার্টেএন্ড বলেন, স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটায় এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, চালকের পরিচয় স্পষ্ট ছিল না। তাকে থানায় নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই চালক গাড়ি ঘুরিয়ে পালাতে চায়। এমন সময় গাড়িটি একটি পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা দিলে একজন পুলিশ আহত হন।

বার্ট্যান্ড দাবি করেন, সেসময় আরেক পুলিশ গুলি করে। তবে দুর্ভাগ্যবশত ওই যুবক মারা যান।’

পুলিশ নিশ্চিত করেছে তল্লাশির সময় ওই ব্যক্তি আঘাত পান। কিন্তু তিনি সহযোগিতা করতে নারাজ ছিলেন। করোটয়েড আর্টারিতে আঘাত পান তিনি। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসে তরুণরা। স্টিভেন নামে স্থানীয় ২২ বছরের এক যুবক বলেন, আমি সবকিছু জ্বলতে দেখছিলাম, গাড়িতে, বিনে। সবকিছু ভাংচুর চলছিলো। তবে এখন শান্ত।

দার্ভালিয়ারেস ও মালাকোফেও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ফ্রান্সে তরুণদের সঙ্গে পুলিশের বৈরী সম্পর্ক নতুন কিছু নয়। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তাদের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছে। রাজনীতিবিদরা বরাবরই এই সংকট সমাধানের চেষ্টা করে আসছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায়ই পুলিশের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ক্ষমতা প্রয়োগের অভিযোগ পাওয়া যায়।