‘নিরাপদবোধ’ করার আগ পর্যন্ত ভারতে ফিরবেন না জাকির নায়েক

বিতকির্ত ইসলামি চিন্তাবিদ জাকির নায়েক জানিয়েছেন, অবিচার থেকে নিরাপদবোধ করার আগ পর্যন্ত তিনি ভারতে ফিরবেন না। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়া অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) তাকে গ্রেফতার ও ভারতে ফিরিয়ে আনতে চাইছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এখবর জানিয়েছে।

জাকির নায়েক

বুধবার ভারতীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, ওই দিনই তাকে মালয়েশিয়া থেকে ভারত ফিরিয়ে আনা হবে। এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পর জনসংযোগ কর্মকর্তার মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জাকির নায়েক বলেন, আমার ভারতে ফিরে আসার খবর ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। অবিচার থেকে নিরাপদবোধ করার আগ পর্যন্ত ভারতে ফেরার কোনও পরিকল্পনা আমার নেই।

বিবৃতিতে জাকির নায়েক আরও উল্লেখ করেন, অবশ্যই তিনি মাতৃভূমিতে ফিরবেন যখন তিনি মনে করবেন সরকার নিরপেক্ষ।

বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, অর্থ পাচারসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে। গ্রেফতার এড়াতে তিনি মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন।

এর আগে গত বছর জুলাই মাসে চলমান তদন্তে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) সামনে সশরীরে হাজির না হওয়ায় জাকিরের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। জানুয়ারিতে তার নামে জারি হয় সমন। এরপর আরও তিনবার সমন জারি হলেও আদালতে যাননি তিনি। উগ্রবাদ প্রচারের অভিযোগে এনআইএ-এর তলবেও সাড়া দেননি বিতর্কিত এই বক্তা। তদন্তের স্বার্থে দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হলেও নায়েক ভারতে ফেরেননি।

উল্লেখ্য, গুলশান হামলাকারীদের মধ্যে অন্তত দুইজন জাকির নায়েককে অনুসরণ করত বলে অভিযোগ ওঠার পর এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। নিহত জঙ্গিদের দুজন-রোহান ইমতিয়াজ এবং নিবরাস ইসলাম জাকির নায়েককে অনুসরণ করত বলে অভিযোগ রয়েছে। রোহান গত বছর জাকির নায়েকের পিস টিভির একটি অনুষ্ঠান তার ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছিল। ভারতে বিভিন্ন সময়ে আটক হওয়া জঙ্গিরাও জাকির নায়েককে অনুসরণ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পাটনার গান্ধী ময়দান ও বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে আটক জঙ্গিদের কাছ থেকেও জাকিরের বক্তৃতার সিডি ও বই উদ্ধারের দাবি করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। এমন প্রেক্ষাপটে ভারতে জাকির নায়েক ও তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। এক পর্যায়ে ভারত ছেড়ে জাকির নায়েক সৌদি আরবে আশ্রয় নেন।