সিরিয়ায় সামরিক উপস্থিতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা ইরানের

সিরিয়ায় সামরিক উপস্থিতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির স্পিকারের সিনিয়র উপদেষ্টা এবং সাবেক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, সিরিয়া আইএস সরকারকে বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের নির্মূলে সহায়তা দিতে ইরানের সামরিক উপদেষ্টারা যতদিন প্রয়োজন ততদিন দেশটিতে অবস্থান করবেন। শনিবার তেহরানে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত সালাহ আয-যাওয়াবি’র সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি নিজ দেশের এমন অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

nonameহোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, সিরিয়ায় উগ্র তাকফিরি গোষ্ঠী দায়েশ (আইএস)-এর পতন হওয়ার পর দেশটির জনগণ তাদের নিজ ভূমিতে ইসরায়েলের উপস্থিতি মেনে নেবে না। দায়েশের পরাজয়ের পর ইহুদিবাদী ইসরায়েল সিরিয়ার ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালায়। তবে প্রতিরোধকামী শক্তি এবং ইরানের সামরিক উপদেষ্টারা সন্ত্রাসীদের নির্মূলে সিরিয়ায় তাদের উপস্থিতি বজায় রাখবেন।

তিনি বলেন, সিরিয়ার ভূখণ্ড আবারও ইহুদি সন্ত্রাসীদের জন্য স্বর্গভূমিতে পরিণত হোক তা দেশটির জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিরিয়ায় ইরানের সামরিক উপস্থিতি লক্ষ্য করে দফায় দফায় ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ইরানি সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রাণহানির খবরও পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলের কর্মকর্তারা বরাবরই বলে আসছেন, তারা কোনও অবস্থাতেই সিরিয়ায় ইরানের দীর্ঘমেয়াদি উপস্থিতি মেনে নেবে না। তবে অনেকেই মনে করেন, ইরানের মিত্র সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকেই দেশটির ক্ষমতায় দেখতে চায় ইসরায়েল। কেননা, আসাদের শাসনামলে ইসরায়েলের দখলকৃত সিরিয়ার গোলান অঞ্চল ছিল শান্ত। কিন্তু আসাদবিরোধীরা ক্ষমতায় গেলে অঞ্চলটি অশান্ত হয়ে উঠতে পারে, যা ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। যদিও ইসরায়েলি রাজনীতিকরা প্রকাশ্যে আসাদকে উৎখাতের কথা বলে আসছেন।

জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক অধ্যাপক এলি পোদেহ বলেন, যখন ধীরে ধীরে এটা স্পষ্ট হচ্ছে যে আসাদই ক্ষমতায় থাকছেন তখন সম্ভবত সর্বশেষ ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার আলোচনায় আসাদের শাসনকে মেনে নিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েল চায় ইসরায়েলি-সিরীয় সীমান্তের স্থিতিশীলতা ও শান্ত পরিবেশ। আসাদ সরকার সেটা নিশ্চিত করলেই ইসরায়েল সন্তুষ্ট থাকবে। সূত্র: আল জাজিরা, পার্স টুডে।