গাজার প্রধান রসদ সরবরাহ ক্রসিং বন্ধ করে দিলো ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার প্রধান রসদ সরবরাহ ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। কারাম আবু সালেম নামের এই কমার্শিয়াল বর্ডার ক্রসিং দিয়ে কার্গোতে করে গাজার বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হতো। ১০ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার এটি বন্ধ করে দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। আর এর পক্ষে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানো হয়, ইসরায়েল কর্তৃক দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের অগ্নিসংযোগ ও অনুপ্রবেশের চেষ্টা। তেল আবিব বলছে, এমন কর্মকাণ্ডের বদলা বা প্রতিশোধ হিসেবেই রসদ সরবরাহ ক্রসিংটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

nonameগাজা উপত্যকার ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দার জন্য বৈদেশিক সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে কারাম আবু সালেম নামের এই সীমান্ত ক্রসিংটি ব্যবহার করা হয়। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন থেকে ক্রসিংটি দিয়ে শুধু খাবার ও ঔষধের মতো মানবিক সামগ্রী সরবরাহের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে পোশাক ও নির্মাণ সামগ্রী প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে না।

অতি প্রয়োজনীয় এ সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ার পদক্ষেপকে গাজাবাসীর বিরুদ্ধে ‘সামষ্টিক শাস্তি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। আর এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এমন পদক্ষেপকে ‘গাজাবাসীর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। দলটি বলছে, এটা মানবতার বিরুদ্ধে একটি নতুন অপরাধ। এদিকে, হামাসকে কঠোর হাতে দমনের অঙ্গীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

অন্যদিকে, গাজা উপত্যকায় দীর্ঘদিনের ইসরায়েলি অবরোধের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতারও সমালোচনা করেছে হামাস। দলটি বলছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এমন দীর্ঘ নীরবতা ইসরায়েলকে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে আরও উৎসাহিত করেছে। সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা।