টানাপোড়েনের মধ্যেই মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে থেরেসা মে, ঐক্যের আহ্বান

দুই সিনিয়র মন্ত্রীর পদত্যাগের পর পরিষদের বাকি সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে। মঙ্গলবারের এই বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়া যাওয়ার প্রক্রিয়া ব্রেক্সিট ইস্যুতে সরকারকে ঐক্যবদ্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ব্রেক্সিট সম্পন্ন হওয়ার পর সংস্থাটির সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক কী হবে তা নিয়ে মতবিরোধের জের ধরে সোমবার পদত্যাগ করেন দুই মন্ত্রী।মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে ডাউনিং স্ট্রিট ছাড়ছেন থেরেসা মে
নয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। ইউরোপের ২৭ দেশের জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ব্রিটেনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে এখনও মতবিরোধ মেটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মে। ‘ব্যবসা-বান্ধব’ ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন থেরেসা মে। তবে এতে সায় না থাকায় পদত্যাগ করেছেন তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ও ব্রেক্সিট বিষয় মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস। এই ইস্যুতে সংসদ সদস্যদের মধ্যেও মতবিরোধ রয়েছে। ফলে সংসদে তার আস্থা ভোটের মুখে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সোমবার কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি সতর্কতা দিয়ে বলেন, দলের অভ্যন্তরে মতবিরোধ জোরালো হতে থাকলে বিরোধী লেবার নেতা জেরেমি করবিন ক্ষমতা নিয়ে নিতে পারেন। তার এই সতর্কতাকে হাততালি দিয়ে স্বাগত জানান অনেক আইনপ্রণেতা। বিচারমন্ত্রী ডেভিড গাউক বিবিসি রেডিওকে বলেছেন, ‘আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন দেওয়া আর এক সুরে কথা বলা মন্ত্রিপরিষদের জন্য ঠিক কাজ হবে। আর যারা এই কাজ করতে পারবে না তাদের চলে যাওয়া উচিত।’

থেরেসার দলের এক সিনিয়র আইনপ্রণেতা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর আস্থা ভোটের মুখে পড়ার শঙ্কা করছেন না তারা। যদিও রক্ষণশীল কেউ কেউ বলছেন তার এর মুখে পড়া উচিত। অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক টানাপোড়েন থেকে টিকে গেলেও থেরেসা মে’কে ইইউ নেতৃত্বকে বোঝাতে হবে যে তার পরিকল্পনা কাজ করবে। মঙ্গলবার আরও পরের দিকে ইউরোপের অন্যতম ক্ষমতাশালী নেতা জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের ব্রিটেন পৌঁছানোর কথা রয়েছে।