তিক্ত অভিজ্ঞতার পর ফের মুখোমুখি হচ্ছেন ট্রাম্প-ট্রুডো

শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-সেভেন সম্মেলনে তিক্ত অভিজ্ঞতার পর ফের মুখোমুখি হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। গত জুনে ওই সম্মেলনে বাণিজ্য শুল্ক আরোপ নিয়ে দুই নেতার বিরোধ চরমে পৌঁছায়। একে কেন্দ্র করে টুইটারে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে ‘খুবই অসৎ ও দুর্বল’ বলে আখ্যায়িত করেন ট্রাম্প। ঘোষণা দেন কানাডার দুগ্ধজাত পণ্যের ওপর ২৭০ শতাংশ শুল্ক আরোপের। ওই ঘটনার এক মাসের মাথায় বুধবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ন্যাটো বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন দুই নেতা।

nonameজি-সেভেন সম্মেলনের ওই ঘটনার পর অবশ্য ফোনে দুই নেতার কথা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ফোনালাপে তাদের সম্পর্ক উন্নতির দিকে গেছে। কিন্তু এ মাসেই কানাডীয় পণ্যে মার্কিন শুল্প আরোপের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শুল্ক আরোপ করে কানাডা। একে দুই মিত্রের বাণিজ্য যুদ্ধ হিসেবে দেখছেন অনেকে।

গত জুনে ট্রাম্পের শুল্ক পরিকল্পনাকে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্কের ক্ষেত্রে অপমানজনক বলে মন্তব্য করেছিলেন ট্রুডো। তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আর কোনও দেশই আমাদের মতো বন্ধুত্বপূর্ণ না। আপনি কানাডায় যত পণ্য বিক্রি করেন যুক্তরাজ্য, জাপান ও চীন সব মিলেও তার সমান হয় না।’

জাস্টিন ট্রুডো বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন ও কানাডীয় সেনারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে ও জীবন দিয়েছে, আফগান যুদ্ধে তারা একসঙ্গে ছিল। সবসময়ই যুক্তরাষ্ট্রের পাশে ছিল কানাডা। ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত সেই সবকিছুর জন্য অপমানজনক।