বৃহস্পতিবার মা-বাবা’র কাছে ফিরছে পরিবার-বিচ্ছিন্ন শিশুরা

মেক্সিকো সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশকারী অভিবাসীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা শিশুদের বৃহস্পতিবার ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে। সবচেয়ে কম বয়সী শিশুরাই এদিন বাবা-মা’র কাছ ফিরে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। দেশটির সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

180429143730-05-migrant-caravan-0429-medium-plus-169জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় মেক্সিকোর অবৈধ অভিবাসন-প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে শক্ত আটক অভিযান পরিচালনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। আগে মেক্সিকো থেকে সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবার প্রবেশকারীদের মধ্যে যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটনে আসছে বলে আলামত পাওয়া যেত, তাদেরই কেবল আটক করা হতো। পরিবর্তিত অভিবাসন নীতিতে যারাই অনিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমেরিকা প্রবেশের চেষ্টা করবে, তাদেরকেই আটক করা হচ্ছে। পরিবারের পূর্ণ বয়স্ক নারী-পুরুষ আটক হওয়ার কারণেই তাদের সুরক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওই শিশুরা। তবে এরই মধ্যে প্রায় ৩০০০ শিশুকে তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে পুনর্মিলনে প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে করেছে মার্কিন সরকার।

ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আশা করছি ১২ জুলাই সকালের মধ্যেই পাঁচ বছরের কম বয়সী সব শিশুদেরই আমরা আদালতের রায় অনুযায়ী বাবা-মা’র কাছে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হবো।’

গত মাসে স্যানডিয়েগোর একজন ফেডারেল বিচারক শিশুদের বাবা-মা’র কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার রায় দেন। এরপর শিশুদের বয়সভেদে আলাদা করতে থাকে সরকার। বিচারক ডানা সাবাও নির্দেশ দিয়েছিলেন ১০ জুলাইয়ের মধ্যে যেন পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী শিশুর সংখ্যা ১০২ জন। তবে নিয়মতান্ত্রিক জটিলতায় গত কয়েকদিনে সেই সংখ্যা কমে গেছে।

বিচার বিভাগ জানিয়েছে, অপরাধের রেকর্ড থাকায় কয়েকজন বাবা-মা’র কাছে সন্তান ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। কয়েকজনকে ইতোমধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন এখনও আছেন। প্রশাসন এমন এক পরিবারের কথা জানতে পেরেছে যাদের ঠিকানা গত এক বছরে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

বিচারক জানায়, তদন্তের পর হয়তো অনেকেই এই তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। তবে তিনি সতর্ক করে দেন যে তার নির্দেশনাই বাবা-মার সঙ্গে শিশুদের একত্রিত করার ডেডলাইন। ফলে মঙ্গলবারের মধ্যেই ৬৩ জন শিশুর বাবা-মা’র কাছে ফিরে যাওয়ার কথা।

ট্রাম্প প্রশাসন থেকে জানায়, এখন পর্যন্ত ৩৮ জন শিশুকে বাবা-মার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও ১২ জন বাবা-মা হয়তো শিশুদের পাবেন। তবে সেজন্য তাদের ঠিকানা জানা জরুরি।   স্বাস্থ্য ও মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অভিবাসী শিশুদের জন্য অত্যন্ত মানবিক ও দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা করছি। 

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন এর করা মামলার শুনানি শুক্রবার অনুষ্ঠিত হওয়া কথা। তবে তারা এখনও বিচারকের কাছে সরকারকে চাপ দেওয়ার কোনও আবেদন করেনি। তবে ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে পাঁচ বছরের বড় শিশুদের ফিরিয়ে দেওয়াটাই প্রশাসনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে। কারণ সেখানে শিশুদের সংখ্যা অনেক বেশি।