ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আটক

১০ লাখ সৌদি রিয়াল ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। দুর্নীতিবিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে সর্বশেষ এই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হলো।

সৌদি নিরাপত্তা বাহিনী

গত নভেম্বরে এক রাজ ডিক্রির মাধ্যমে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে পরিচালিত দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়। ওই অভিযানে ধনকুবের প্রিন্স আল আলওয়ালিদ বিন তালালসহ রাজপরিবারের ১১জন প্রিন্সসহ অনেক মন্ত্রী ও প্রভাবশালী আটক হন। এরপর দুর্নীতির অভিযোগ আটক হন আরও বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী রাজপুত্রসহ ব্যবসায়ী। এই ধারাবাহিকতায় এবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাকেও আটকের দাবি করছে দেশটি।

কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আরব আমিরাতের সরকারি সংবাদপত্র ‘দ্য ন্যাশনালে’র খবরে বলা হয়, সরকারি টাকা পরিশোধ না করেই একটি কাজ করিয়ে নেওয়ার জন্য একটি কোম্পানির পক্ষ থেকে ওই ঘুষ দেওয়া হয়। এই কাজের সঙ্গে তিনজন কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তাদের কারওই নাম প্রকাশ করা হয়নি। গ্রেফতার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া ও নিজের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

নিজ দফতর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সৌদ বিন আব্দুলআজিজ আল মুজিব বলেন, ক্ষমতার প্রয়োগের জন্য ওই কর্মকর্তা নিজের পদের অপব্যবহার করেছেন আর জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতরের আওতায় নবগঠিত বিচারবিভাগ ওই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে। গত বছর বাদশাহ সালমান দুর্নীতি তদন্ত ও বিচারের জন্য এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এই বিভাগটি চালু করেন।

সৌদি আরবের দাবি অনুযায়ী দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার শর্তে জানুয়ারি থেকে গ্রেফতারকৃত মুক্তি দেওয়া শুরু হয়। পরে সৌদি অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, এই প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ জমা পড়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা সংহত করতেই ওই অভিযান চালানো হচ্ছে। সূত্র: মিডলইস্ট মনিটর।