গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ২ ফিলিস্তিনি কিশোর

ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দেশটির বিমান হামলায় ২ ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

42e5cc626c5f4b7aadb453ddcc66eb4c_18সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ২০১৪ গাজা যুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। শনিবারে গাজায় চালানো তাদের বিমান হামলায় আমির আল নিমরি (১৫) ও লুয়ায় কাতিল (১৬) নামে দুই কিশোর নিহত হয়েছে।

গত ৩০ মার্চ শুরু হওয়া গ্রেট রিটার্ন মার্চ কর্মসূচির পর থেকে ধারাবাহিক বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরায়েল নামের রাষ্ট্র। ১৯৭৬ সালের ৩০ মার্চ ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ইহুদি বসতি নির্মাণের প্রতিবাদ করায় ছয় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। পরের বছর থেকেই ৩০ মার্চ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত পরবর্তী ছয় সপ্তাহকে ভূমি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ফিলিস্তিনিরা। কর্মসূচির শেষ দিনটিকে ফিলিস্তিনিরা‘নাকবা’ বা বিপর্যয় দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।

গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এবারের ভূমি দিবসের আন্দোলন শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ১৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছেন ১৬ হাজারের বেশি মানুষ। তবে এর মধ্যে কোনও ইসরায়েলির হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

আল কুতাইবা স্কয়ারটির সাথেই একটি পার্ক রয়েছ্ সেখানে পরিবার নিয়ে বেড়াতে যায় সবাই। তার কাছাকাছিই হামলা চালায় ইসরায়েল। গাজার এক সংবাদিক মারাম হুমাইদ বলেন, ‘এজন্য এত বেসামরিক মারা যাচ্ছেন।’

এক টুইট বার্তায় হামলার কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েলও। তারা জানায়, উচু ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। শনিবার সকালে ইসরায়েল দাবি করে, তারা হামাসের স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ওই দুই কিশোর ছাদে খেলাধুলা করছিলো। তখনই হামলায় প্রাণ হারান তারা। এছাড়া আরও দুইজন আহত হয়েছেন। এই নিয়ে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪ তে।