কাশ্মিরে সরকারি অ্যাডভোকেট হলেন শিশু ধর্ষণকারীদের আইনজীবী

কাশ্মিরের কাঠুয়ায় ৮ বছরের এক মুসলিম শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর খুনের ঘটনা ভারতজুড়ে আলোচন তৈরি করে। গত জানুয়ারির ওই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় ধর্ষকদের পক্ষে দাঁড়ানো আইনজীবী অসীম সাহানিকে রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল নিযুক্ত করেছে কাশ্মিরের রাজ্য সরকার। সরকারি এই সিদ্ধান্তের জেরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। তবে এসব বিতর্কে কান দিতে রাজি নন অসীম সাহানি। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, '২ জুলাইয়ের পর থেকে আমি ওই মামলায় সওয়াল করিনি।'

nonameঅসীম সাহানি’র দাবি, কাঠুয়া গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তদের হয়ে সওয়াল করেছিলেন তার বাবা এ কে সাহানি। তিনি শুধু 'সহযোগিতা' করেছিলেন মাত্র। কিন্তু অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদে থেকে কাঠুয়ার মতো মামলার সঙ্গে কি তার জড়িত থাকা উচিত? উত্তরে সাহানি বলেছেন, 'আমি আর ওই মামলার সঙ্গে জড়িত থাকবো না।'

এর আগে নিরপেক্ষ বিচার হবে না এই আশঙ্কায় কাঠুয়া ধর্ষণ মামলা জম্মু থেকে পাঞ্জাবের পাঠানকোটে সরানোর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। রুদ্ধদ্বার শুনানির মাধ্যমে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সে অনুযায়ী, পাঠানকোট আদালতে সরানো হয় কাঠুয়া মামলা।

ধর্ষণের পর মাথায় পাথর মেরে ও গলা টিপে হত্যা করা হয় আট বছরের শিশুটিকেচলতি বছরের ১০ জানুয়ারি কাঠুয়ার উপত্যকায় ঘোড়া চড়ানোর সময় অপহরণ করা হয় আট বছরের ওই শিশুকে। আদালতে দায়ের করা মামলার বিবরণ অনুযায়ী, শিশুটিকে অপহরণের জন্য অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও দেবীস্থান মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণকারী সানজি রাম তার ভাগ্নে ও একজন পুলিশ সদস্যকে নির্দেশ দেয়। নির্দেশ বাস্তবায়নের পর সাত দিন ধরে মন্দিরে আটকে রেখে একদল হিন্দু পুরুষ ধর্ষণ করে আসিফাকে। পরে মাথায় পাথর মেরে ও গলা টিপে হত্যা করা হয় তাকে।

এদিকে ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু দেশটির পার্লামেন্টকে জানিয়েছেন, ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ভারতে লক্ষাধিক ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে এক লাখ ১০ হাজার ৩৩৩টি ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়েছে। এরমধ্যেই ২০১৬ সালেই ৩৮ হাজার ৯৪৭টি অভিযোগ জমা পড়ে। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।