মানুষের বিকল্প কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিরুদ্ধে সোচ্চার ২৪০০ বিজ্ঞানী

সবক্ষেত্রে মানুষের বিকল্প হয়ে উঠছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট। কিন্তু যেখানে জীবন-মরণ প্রশ্ন, সেই সিদ্ধান্ত কোনও রোবটের ওপর ছেড়ে না দেওয়া উচিত নয়। কারণ সেখানে অনেক মানবিক সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে প্রযুক্তি দূষিত হচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্বের ২৪০০ এরও বেশি শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী ও গবেষক। তাদের মধ্যে গুগল ডিপমাইন্ডের ডেমিস হাসাবিস ও স্পেসএক্স এর এলন মাস্কের মতো ব্যক্তিত্বও রয়েছেন। তাদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবটগুলো মানবজাতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Captureএই বিজ্ঞানী ও গবেষকরা এমন রোবট তৈরি, উৎপাদন ও বিক্রি না করার ব্যাপারে একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেছে। তাদের সঙ্গে আরও ১৭০টি কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তা সংশ্লিষ্ট ফার্ম ও সংগঠনও যুক্ত হয়েছে।কেমব্রিজভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান দ্য ফিউচার অব লাইফ ইনস্টিটিউট নামের একটি সংগঠন এই উদ্যোগ নেয়। সংগঠনটি  জানায়. ‘সামরিক বাহিনীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ছে। কিন্তু গ্রহণযোগ্য ও অগ্রহণযোগ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পৃথকীকরণের ক্ষেত্রে এখনই সব নাগরিক, নেতা ও নীতিনির্ধারকদের এগিয়ে আসতে হবে।’

তারা আরও জানান, ‘এই মর্মেই আমরা একটি অঙ্গীকার করেছি যে মানুষের জীবন নেওয়ার সিদ্ধান্ত কখনোই একটি যন্ত্রের ওপর দেওয়া উচিত না। এখানে মানবিক অনেক ইস্যু থাকতে পারে। এই সিদ্ধান্ত কখনও যন্ত্রের ওপর দেওয়া ঠিক হবে না।’

এছাড়া জাতিসংঘের ২৬টি দেশও এমন মারণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।