গর্ভপাতের দায়ে ধর্ষণের ‍শিকার কিশোরীর কারাদণ্ড

ইন্দোনেশিয়ায় বড় ভাইয়ের হাতে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর গর্ভপাত করায় ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার ঘোষিত ওই রায়ে তার ১৭ বছর বয়সী ভাইকে ধর্ষণের দায়ে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

64368-tyiohkdnku-1501315969

সুমাত্রা দ্বীপের মুয়ারা বুলিয়ান জেলা আদালতের মুখপাত্র আরিফ বুদিমান শনিবার বলেন, শিশু সুরক্ষা আইনের আওতায় মেয়েটির বিরুদ্ধে গর্ভপাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর নাবালিকার ও যৌন নির্যাতনের দায়ে তার ভাইকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

নারীর জীবন ঝুঁকিতে না পড়া বা ধর্ষণের পর বিশেষ পরিস্থিতিতে না পড়া পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় গর্ভপাত নিষিদ্ধ। আইন অনুযায়ী, নিবন্ধিত পেশাদার চিকিৎসকের মাধ্যমে এই গর্ভপাত ঘটাতে হবে। আর অবশ্যই গর্ভধারণের ৬ সপ্তাহের মধ্যে তা করতে হবে। এছাড়া পরবর্তীতে এসব নারীকে অবশ্যই কাউন্সিলিংয়ের আওতায় আনতে হবে।

বুদিমান বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ওই মেয়েটিকে ৮ বার ধর্ষণ করে তার ভাই। আর গর্ভবতী হওয়ার ৬ মাস পর সে গর্ভপাত করেছে। আর এই কাজে সহায়তা করায় তার মায়ের বিরুদ্ধে আলাদা অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত জুন মাসে জাম্বি প্রদেশের পুলাও গ্রামের পাশে পাম ওয়েল গাছের একটি বাগানে একটি ভ্রুণ পাওয়ার ওই দুই ভাই-বোনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলি ওই মেয়েকে এক বছর ও তার ভাইকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার আবেদন করেছিল। তবে ঘোষিত রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করা সুযোগ পাবে।

বৈশ্বিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই ইন্দোনেশিয়ার গর্ভপাত আইনের সমালোচনা করে আসছে। তাদের অভিযোগ, এই আইনের মাধ্যমে নারীর পুনরুৎপাদনশীল স্বাস্থ্যের অধিকার খর্ব করেছে। এর ফলে অনেক নারী অবৈধ ক্লিনিকগুলোতে বিপদজনকভাবে গর্ভপাত করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, দেশটিতে মাতৃত্বজনিত মৃত্যুর ৩০ থেকে ৫০ ভাগের কারণ এসব অবৈধ গর্ভপাত।